
দিনাজপুরে ঘোড়াঘাটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে ফোনে ডেকে নিয়ে ঘরের বাইরে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
রোববার গভীর রাতে প্রেমিকের কণ্ঠ নকল করে ফোনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক কিশোরীকে ঘরের বাইরে ডেকে নিয়ে যান স্থানীয় লাবু মিয়া। পরে তাকে চাকুর মুখে অপহরণ করে বাড়ির পাশে একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন লাবু মিয়া ও তার দুই সহযোগী আশরাফুল এবং ওমর ফারুক। পরে তারা পালিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশে খবর দেয় পরিবার। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্বজন ও এলাকাবাসী।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, দশম শ্রেণি পড়ুয়া (১৭) ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে স্থানীয় একটি ছেলের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। দুজনের মাঝে ফোনে কথোপকথনের বিষয়টি জানতে পারেন লাবু নামে একব্যক্তি। কৌশলে ওই মেয়েটির ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে প্রেমিকের পরিচয়ে মেয়েটির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন তিনি। রোববার রাত ৩টার দিকে কিশোরী সখিনার বাড়ির পাশের লিচু বাগানে তাকে দেখা করতে ডাকে। বাগানে গিয়ে সে প্রেমিকের পরিবর্তে অন্য এক যুবককে দেখে চিৎকার করে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় লাবু ও তার সঙ্গীরা ওই কিশোরীকে আটকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশের লিচু বাগানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসার পর পুরো ঘটনা শুনে তাকে নিয়ে থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিম উদ্দিন জানান, অভিযান চালিয়ে ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কিশোরীকে দিনাজপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।