Share this:
চরফ্যাশন (ভোলা )প্রতিনিধিঃ চরফ্যাশন পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভানেত্রী ও চরফ্যাশন সরকারি টিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক সামসু নাহার স্নিগ্ধা বিএনপির একটি গ্রুপে নিজেকে সম্পৃক্ত করার পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেশের বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের এই নেত্রী বিএনপির বিতর্কিত কিছু নেতার সঙ্গে আতাত করে উপজেলা “গালস গাইড” সংগঠনের ব্যানারে বিএনপির একটি গ্রুপে নিজকে সম্পৃক্ত করার প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছেন বলে অভিযোগকারী সুত্রটি জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়,ভোলার চরফ্যাশন সরকারি টিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক নুরুন নাহার স্নিগ্ধা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারি চাকরির বিধি লংঙ্গন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে নৌকা মার্কার প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করেন। সেই সময় এ নিয়ে শিক্ষক, অভিভাবকসহ সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কিন্তু সংসদ সদস্য জ্যাকব ও তার সহধর্মীনির একান্ত লোক ও চরফ্যাশন পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভানেত্রীর দায়িত্বে থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি। সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা হয়েও তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জরিত হয়ে বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি প্রচার অভিযানে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।
বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতা জানান, আওয়ামীলীগ ক্ষমতামলে আওয়ামীলীগের এই নেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং একটিং চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আজে বাজে মন্তব্য করে দৃষ্টতা দেখাতেন। একারণে তিনি আওয়ামী লীগে একাধিক পদ পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগ নেত্রীর বিএনপিতে সম্পৃক্ততার পায়তারার বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়া জানান, বিষয়টি আমিও শুনেছি। বিএনপি একটি সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল। অনুপ্রবেশকারীদের কোনক্রমেই এ দলে ঠাই দেওয়া হবে না। কেউ এদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানাগেছে, তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে সরকারি চাকরির বিধি লংঙ্গন করে নিজ বাসভবনে “এ রব ইংলিশ ভার্সন” নামের অবৈধ কোচিং সেন্টার পরিচালনা করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি দলীয় প্রভাবে নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের সঙ্গে দূর্ব্যবহার করেছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার এ-সব অনিয়মের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন? আদৌ কোন ব্যবস্থা নিবেন কি-না অবিভাবক ও সচেতন নাগরিকরা জানতে চায়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
