জীবন ও জীবিকার স্বার্থে লকডাউন শিথিল করছে সরকার: কাদের

মানুষের জীবন ও জীবিকার স্বার্থে সরকার লকডাউন শিথিল করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (৯ আগস্ট) তেজগাঁও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের পূর্ত কাজ দু’টি বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মধ্য চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

গণপরিবহনে করোনা পূর্ববর্তীকালে যে ভাড়া ছিল সে ভাড়ায় চলবে বর্ধিত ভাড়ায় নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং জনস্বার্থে সকল স্টেক হোল্ডার ও মালিক-শ্রমিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। যাত্রীদের শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি এ বিষয়ে বিআরটিএকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

সড়ক নির্মাণ করতে হবে কাজের শতভাগ গুণগত মান বিবেচনায়, যেসব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজের মান ভালো করে না এবং একই প্রতিষ্ঠান একাধিক কাজ বাগিয়ে নেয়, সেসব প্রতিষ্ঠানকে ব্লাক লিস্টেট করতে হবে পাশাপাশি কিছুসংখ্যক প্রকৌশলীদেরও দোষারোপ করেন ওবায়দুল কাদের।

জনগণের প্রতি শেখ হাসিনার ‘ডিপ অ্যান্ড এবাইডিং কমিটমেন্ট’ থেকে বিএনপি চাইলে অনেক কিছুই শিখতে পারতো উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন কিন্তু ইতিহাসের নির্মম সত্য হচ্ছে বিএনপি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় নি।

রক্তাক্ত ষড়যন্ত্রে বিএনপি’র অতীত কলঙ্কিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অল্পসময়ে ব্যবধানে সরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিন সংগ্রহে সফল হবে, বিএনপি ভাবতেই পারেনি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তারা ভেবেছিল টিকা পেতে বছরের পর বছর লেগে যাবে, তারা অন্তর্দহনে দগ্ধ হচ্ছে। এমনিতেই আগস্ট মাস এলে বিএনপি অতীতের রক্তাক্ত বিশ্বাসঘাতকতায় অন্তর্জ্বালায় ভোগে।

ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারের সাফল্য বিএনপির অস্থিরতা এবং মর্মযন্ত্রণা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ, তাইতো তারা আবোল-তাবোল বকছে বলে মনে করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের সাথে প্রতারণা আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা কখনও করে না, করবেও না বরং বিএনপির দলীয় প্রধানের একাধিক ভুয়া জন্মদিন পালন করে নিজেরাই এখন জনগণের কাছে প্রতারক হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে।

জনগণের প্রতি বিএনপির যদি ন্যূনতম দায়িত্ববোধ থাকতো তাহলে অন্তত টিকাদানের সময় সরকারের সমালোচনা বন্ধ করে মানুষের পাশে দাঁড়াতো।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, অবশ্য অব্যাহত মিথ্যাচার আর জনবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে জনরোষের শিকার হওয়ার আশংকা থেকেই তারা নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছে।