
মো.রবিউল ইসলাম,টঙ্গী,!! টঙ্গীতে পুলিশের সহযোগিতায় উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা একটি বাড়ি ও দোকান দখলের চেষ্টাকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষে ৪ জন আহত হয়েছে। আহতরা হল দোকান ও বাড়ির মালিক আলমাছের ছেলে ইমন (২২), আলমগীর (৩৫), স্ত্রী জাহেদা বেগম (৫০) ও প্রতিপক্ষের মোতালেব (৫৫)। এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকেরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হয় এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টঙ্গীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী ইসমাইল ও জসিমের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পুলিশের উপস্থিতিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে হোসেন মার্কেট বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন জনৈক আলমাছের বাড়ি ও দোকান দখল করতে যায়। এসময় আলমাছ পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে আলমাছের ছেলে আলমগীর ও স্ত্রী জাহেদা এবং প্রতিপক্ষের মোতালেব আহত হয়। পরে মোতালেবের ভাড়াটে সন্ত্রাসী ইসমাইল ও জসিমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আলমাছের ছেলে ইমনকে ধরে নিয়ে যায় এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর ফেলে প্রচন্ড মারধর করে। এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্ধী করার সময় সন্ত্রাসীরা দৈনিক নয়া দিগন্তের টঙ্গী সংবাদদাতা শেখ আজিজুল হক, বিজয় টিভির স্থানীয় প্রতিনিধি মোর্শেদ আলম খোকনকে, ক্রাইম পেট্রোল বিডি,ওদৈনিক প্রতিদিনের সাংবাদ এরর টঙ্গী পপ্রতিনিধি গুলি করতে উদ্যত হয়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী জসিম সাংবাদিক আজিজুল হকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এসময় পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা ছবি মূছে মোবাইল সেট ফেরত দেয় এবং আলমাছের ছেলে ইমনকে গুরুতর আহত অবস্থায় অটো রিকশায় অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।পরে টঙ্গী থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ স্থানীয় আউচপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইমনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। পুলিশ এসময় টঙ্গীর আউচপাড়ার ত্রাস সন্ত্রাসী ইসমাইলকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের সামনে দোকান সংযুক্ত বাড়ির জায়গা নিয়ে জনৈক মোতালেবের সাথে আলমাছের দীর্ঘ দিন ধরে মামলা চলছে। মামলাটি বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে এবং ওই জমিতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আলমাছ জানান, মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও টঙ্গী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার উভয়পক্ষকে থানায় ডেকে নেন এবং থানায় বসে ফয়সালার জন্য চাপ দেন। এমনকি ওসি আলমাছের দোকানে তালা দিয়ে চাবি নিজ হেফাজতে নেন। পরে ওই চাবি আলমাছের প্রতিপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। গতকাল রোববার প্রতিপক্ষ মোতালেব এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ইসমাইল ও জসিমের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে দোকান ও বাড়ি দখল করতে গেলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সন্ত্রাসীরা এসময় আলমাছের দোকান ও বাড়ি ঘরে লুটপাট ও ব্যাপক ভাংচুর চালায় বলে আলমাছ অভিযোগ করেন।
মোতালেবের মেয়ে তামান্না এসব ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ‘সোমবার বিকেলে বাবা দোকানের সামনে গিয়ে বসেন। কেন সেখানে গিয়ে বসেছেন এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আলমাছ পরিবারের সদস্যরা তাকে কুপিয়েছে। বর্তমানে তিনি টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
টঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার জমির বিরোধ নিয়ে উভয় পক্ষের বসার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার ফয়সালার আগ পর্যন্ত দোকান না খুলার জন্য আলমাছকে বলেছিলাম। সে কথা রাখলে (দোকান না খুললে) আজকে এই ঘটনা ঘটতো না। ‘এটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে থানার হস্তক্ষেপ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, তারা থানায় আসে কেন, থানায় না আসলে তো বসার প্রসঙ্গ আসতো না।