Share this:
নিজস্ব প্রতিবেদক : আট দফা দাবি আদায়ে আগামীকাল রোববার থেকে ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
শনিবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গার সঙ্গে মালিক-শ্রমিকদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব কাউছার আহমেদ (পলাশ) বলেন, ‘সচিবালয়ে দুই মন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পণ্যবাহী যানবাহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবিগুলো পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক সাত দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ হবে।’
নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘পুলিশি হয়রানির বিষয়টি আগামী সাত দিনের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক। বাম্পার ও অ্যাঙ্গেল খুলে ফেলার ব্যাপারে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বেনাপোলে গিয়ে ভারতের গাড়িগুলো দেখে মতামত দিবেন। তবে ১ ডিসেম্বর থেকে যারা অ্যাঙ্গেল ও বাম্পার খুলবে না, তাদের ব্যাপারে এ মাসে একটি বৈঠক হবে। তখন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৈঠকে পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নজরুল ইসলাম, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- সায়েদাবাদ ট্রাক স্ট্যান্ডের জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিকল্প ব্যবস্থা এবং প্রতি জেলায় ট্রাক স্ট্যান্ড স্থাপন, দিনের বেলা ঢাকা শহরে দেড় হাজার ও তিন হাজার কেজি পর্যন্ত মালামাল পরিবহনের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া, মডেলের অজুহাতে কোনো গাড়ি বাতিল না করা, রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত জটিলতা দূর, সব সড়ক-মহাসড়কে পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া, রেকার বাণিজ্য বন্ধ ইত্যাদি।
