
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : বহুদিন ধরেই গুঞ্জন চলছে যে, বিশ্বের প্রথম এক ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের কোম্পানি কে হতে যাচ্ছে- অ্যামাজন নাকি অ্যাপল?
এ প্রশ্নের উত্তর আজ মিলতে পারে। আজ রাতে অ্যাপলের আর্থিক ফলাফলের রিপোর্ট যদি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হয়, তাহলে বিশ্বের প্রথম এক ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের কোম্পানি হয়ে উঠতে পারে অ্যাপল।
আইফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির মূলধনের পরিমাণ ৯৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিছুটা নিচে, যার মানে হচ্ছে- ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করার জন্য স্টক মূল্য বৃদ্ধি প্রায় ৭ শতাংশ ছাড়ানো লাগবে।
অ্যাপলের শেয়ার মূল্য যদিও একদিনে এতোটা উচ্চতায় পৌঁছানোর ঘটনা বিরল, তবে অপ্রত্যাশিত নয়। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা উড়িয়ে দিয়ে একদিনেই অ্যাপলের স্টক সাড়ে ছয় শতাংশ বেড়েছিল।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের বাজার মূল্য কমেছে, যার মধ্যে গত সপ্তাহে ফেসবুক এবং টুইটারের দরপতন উল্লেখযোগ্য।
কিন্তু অ্যাপলের আশার জায়গা হচ্ছে, বাজারে আইফোনের ভালো অবস্থান বজায় থাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছরে আইফোনের বিক্রির পরিমাণ সামান্য বেড়েছে। সেবা ব্যবসায়ও উন্নতি ঘটেছে। অ্যাপ স্টোর সেবা এবং মিউজিক স্ট্রিমিং সেবার বাজার অ্যাপলের বেড়েছে। গত কয়েক প্রান্তিকের ভালো ফলাফলের সঙ্গে সাম্প্রতিক ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতায় অ্যাপলের স্টক মূল্য ভালোই বাড়াবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
এক ট্রিলিয়ন অনেক বড় একটা অঙ্ক। ১০০ কোটি সমান এক বিলিয়ন আর এক হাজার বিলিয়নে এক ট্রিলিয়ন। এখন দেখা যাক, বিশ্বের প্রথম ১ ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি অ্যাপল হতে পারে কিনা।
তথ্যসূত্র : মিরর