ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনা পুনরায় শনিবার সকাল ৮টায় শুরু করার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : শুক্রবার দুপুর ১টায় সমিতির নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এস এম মাহাবুবুর রহমান এ তথ্য জানান। ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনা পুনরায় শনিবার সকাল ৮টায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এর আগে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ে আওয়ামী ও বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও সমর্থকদের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনার পর ভোট গণনা স্থগিত করা হয়েছিল।

এ সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এস এম মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘ভোট গণনা পুনরায় শুরুর বিষয়ে নির্বাচনের প্রার্থী, সমিতির বর্তমান ও প্রাক্তন সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে আমরা কমিশনের সদস্যরা শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সমিতির কমিশন কার্যালয়ে বসেছিলাম। ভোট গণনা পুনরায় শুরুর বিষয়ে তাদের মতামত গ্রহণ করি। পরে আলাদাভাবে আমরা কমিশনের সদস্যরা বসে পুনরায় শনিবার সকাল ৮টায় ভোট গণনা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা উভয় পক্ষের আইনজীবীরা মেনে নিয়েছেন।’

তিনি জানান, এই সময়ের মধ্যে ব্যালট বক্সগুলো সমিতি ভবনের সঙ্গে থাকা পূবালী ব্যাংকে রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। যদি তা সম্ভব না হয় তবে সমিতির যেকোনো একটি পক্ষ ব্যালটবক্সগুলো রাখার পর তা সিলগালা করা রাখা হবে।

এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সমিতির প্রাক্তন সভাপতি খোন্দকার আব্দুল মান্নান এখনো অসুস্থ হয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তার অবস্থা এখন আগের থেকে ভালো বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮-২০১৯ কার্যবর্ষের দুই দিনব্যাপী এই নির্বাচনে গত ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মোট ১৬ হাজার ১২৯ জন আইনজীবী ভোটারের মধ্যে ৯ হাজার ১১ জন আইনজীবী ভোট দেন।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ভোট গণনা শুরু হয়। ভোট গণনার সময় নির্বাচন কমিশনে পরিচয়পত্র ছাড়া কারো প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যার কারণে আওয়ামী ও বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও সমর্থকরা বাহিরে অবস্থান করছিল। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে একজন বহিরাগত ভেতরে প্রবেশ করে, যা নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আওয়ামী ও বিএনপিপন্থি আইনজীবী ও সমর্থকরা মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর সমিতির নিচ তলায় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। ওই ঘটনার পর প্রধান নির্বাচন খোন্দকার আব্দুল মান্নান অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে পাশের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ভোট গণনা স্থগিত করা হয়।

নির্বাচনে মাট ২৭টি পদের মধ্যে ৫৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যার মধ্যে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের ২৭ জন এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের ২৭টি জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন একজন।

নির্বাচনে নীল প্যানেলে সভাপতি পদে গোলাম মোস্তফা খান ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হোসেন আলী খান হাসান এবং সাদা প্যানেলে সভাপতি পদে আব্দুর রহমান হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মিজানুর রহমান মামুন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।