Share this:
নতুন করে সাজানো হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম। এরই অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা শ্রেণির মেয়াদকাল আগামী বছর থেকে দুই বছর করতে যাচ্ছে সরকার।
চার বছর বয়স থেকেই শিশুদের এই শ্রেণিতে ভর্তি করা যাবে। বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুরা প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে এক বছর পড়াশোনা করে। শুক্রবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি দুই বছর মেয়াদী করার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। আগামী বছর থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে তার বাস্তবায়ন শুরু হবে। ‘ইতোমধ্যে আমরা কনসেপ্ট ডেভেলপ করেছি, সেখানেই বলা আছে কীভাবে কী করব। আগামী সোমবার একটি ভার্চুয়াল সভা করে আমরা প্ল্যান চূড়ান্ত করব।’
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী বছর প্রথম দফায় দেশের ২ হাজার ৫৮৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই বছরের প্রাক-প্রাথমিক চালু করা হবে। পরের তিন থেকে চার বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিদ্যালয়ে এই ব্যবস্থা চালু হবে। এছাড়া নতুন করে এই শ্রেণির জন্য শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ ছাড়াও শিশুদের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রতি বিদ্যালয়ে একজন করে আয়া নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান এক কর্মকর্তা।
বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে দেশে পড়ালেখা করছে পৌনে দুই কোটি শিশু। দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৬২০টি। ২০১০ সালে স্বল্প পরিসরে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু করে সরকার। ২০১৪ সালে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি এই শ্রেণি চালু করা হয়। জাতীয় শিক্ষানীতিতে পর্যায়ক্রমে দুই বছর মেয়াদী প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালুর কথা বলা আছে।
২০১৯-২০২০ সালের মধ্যে প্রাক- প্রাথমিক শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম পরিমার্জন করা হবে। পরবর্তী বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রমে ছাপানো বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
