তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করুন না হয় বক্তব্য প্রত্যাহার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের তথ্য-প্রমাণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জাতির সামনে উপস্থাপন করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তা না পারলে বক্তব্য প্রত্যাহার করার দাবি করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি কমিউনিটি সেন্টারে যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন। আগামী ১০ জানুয়ারির বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সফল করতে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা, মহানগর নেতা ও দলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে যৌথ সভা আহ্বান করা হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নারায়ণগঞ্জে আমরা একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন করেছি। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ও ক্রেডিবল করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন এখানে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দলীয় সরকারের অধীনে এদেশে এমন একটা মডেল নির্বাচন হতে পারে এটা অনেকের কাছে ছিল অবিশ্বাস্য। সেই অসম্ভবকে আমরা সম্ভব করেছি। এর আগে গাজীপুরসহ আরো ৫টি সিটির নির্বাচনেও আমারা কিন্তু জিততে পারিনি। তখনো কিন্তু ইলেকশন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হয়েছিল।

বিএনপির নেত্রীর উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোথায় ষড়যন্ত্র? কীভাবে ষড়যন্ত্র হলো বেগম জিয়া আমরা আপনাকে অনুরোধ করব। আপনি ষড়যন্ত্রের তথ্য-প্রমাণ জাতির সামনে উপস্থাপন করুন। অন্যথায় আপনি আপনার মন্তব্য প্রত্যাহার করুন।

জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বক্তব্যের সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, তিনি এই নির্বাচনকে সংবিধানে সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেছেন। আর তার কথার প্রতিধ্বনি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারাই আমাদের সংবিধান শেখাচ্ছেন? কোন সংবিধানের বদৌলতে জিয়াউর রহমান সাহেব এদেশের রাষ্ট্রপতি হয় এটা আগে বলেন?

তিনি আরো বলেন, এই জেলা পরিষদ আইন ২০০০ সালে প্রণীত হয়েছিল। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি সরকার ক্ষমতায় ছিল। এই আইনটা যদি সাংঘর্ষিক হয় তাহলে কেন এই আইনটি সংশোধন অথবা বাতিল করলেন না।

আগামী ১০ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের জনসভাকে ঐতিহাসিক জনসভায় রূপান্তরিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি আরো বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় পালন করা হবে। গণতন্ত্রের বিজয় দিবসে আমরা ঢাকায় দুটি সমাবেশ করব। একটি সমাবেশ হবে রাসেল স্কয়ারে। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আয়োজনে আরেকটি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে।

পাশাপাশি সারা দেশে সংশ্লিষ্ট জেলা শাখাগুলোও স্ব স্ব উদ্যোগে সমাবেশ করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্তিত ছিলেন মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, একেএম এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আবদুস সোবহান গোলাপ, মৃণাল কান্তি দাস, আব্দুস সবুর, আব্দুল মতিন খসরু, সুজিত রায় নন্দী, ডা. রোকেয়া, হারুন অর রশিদ, বিপ্লব বড়ুয়া, ডা. শাম্মি আহম্মেদ, পারভীন জামান কল্পনা, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

এ ছাড়া ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।