Share this:
নিজস্ব প্রতিবেদক : দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসার্থে সমন্বিত সহায়তার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সদস্য সচিব ড. ইফতেখারুজ্জামান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
দরিদ্র রোগীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও চিকিৎসার্থে সহায়তাবিষয়ক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে পেশেন্ট ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসার্থে সহায়তা দিতে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে আয় অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আয় বেশি হলে সাহায্যের পরিমাণও বড় হবে। এক পর্যায়ে দরিদ্র রোগীদের জন্য পরিমাপযোগ্য তহবিল সংগ্রহ হবে। এই তহবিল সংগ্রহে প্রয়োজন সবার সমন্বিত অংশগ্রহণ।
তিনি আরো বলেন, ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো সেবা নিতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির শিকার হয়েছে।
এর মধ্যে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সহকারী না পাওয়া, দালাল কর্তৃক হয়রানির শিকার, বেসরকারি ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাওয়ার পরামর্শ, চিকিৎসার সময়ে ডাক্তারের কক্ষে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির উপস্থিতি থাকা দুর্নীতির অন্যতম কারণ।
তিনি বলেন, অনেক সময় বিভিন্ন সেবা পেতে ঘুষ বা নিয়মবহির্ভূত অর্থও আদায় করা হচ্ছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের মোট চিকিৎসকদের ৬১ দশমিক ৪ ভাগ বেসরকারি চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সর্বশেষ ২০১৫ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে নিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৪১টি। যার মধ্যে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা ৪ হাজার ২৮০টি এবং রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের সংখ্যা ৯ হাজার ৬১টি। এ সব প্রতিষ্ঠান থেকে গাইনি ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, মিডিসিন, রোগ-নির্ণয়, বিশেষায়িত সেবা দেওয়া হয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পৃথিবীর যে ১০টি দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার বেশি, বাংলাদেশ তার একটি। বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর প্রধান কারণ- সময়ের আগে জন্মানোর জটিলতা (২০ শতাংশ), নিউমোনিয়া (১৫ শতাংশ), জন্মকালীন বা প্রসবকালে নানা জটিলতায় (১৫ শতাংশ), সেপসিস ও মেনিনজাইটিস (১৪ শতাংশ), জন্মগত ত্রুটি (৯ শতাংশ), ডায়রিয়া (৬ শতাংশ) এবং নানা আঘাতজনিত কারণে (৬ শতাংশ) পাঁচ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই শিশুরা মারা যায়।
প্রফেসর ডা. কাজী শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএসএমএমইউর মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর এবিএম আব্দুল্লাহ, অ্যাডভোকেট ড. মো. ইউনুস আলী আকন্দ, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. রাকিবুল ইসলাম লিটু, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট এলিনা খান, সাংবাদিক আশিস সৈকত প্রমুখ।
