দুই দাবিতে জনকণ্ঠ সাংবাদিকদের ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম

১৪ কোটি টাকা বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও দ্রুত প্রশাসক বসানোর দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো মানববন্ধন করে জনকণ্ঠ কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন পত্রিকাটির সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বুধবার রাজধানীর ইস্কাটন রোডের পত্রিকাটির ভবনের সামনে ১ ঘণ্টা কর্মবিরতি দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ জানান তারা।

মানববন্ধন শেষে ভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন তারা। এতে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ২০ মিনিট রাস্তা অবরোধ রাখার পর পুলিশ এসে আশ্বাস দিলে রাস্তা থেকে সরে আসেন তারা।

মানববন্ধনে আন্দোলরত সাংবাদিকরা বলেন, জনকণ্ঠ পত্রিকা জনগণের কণ্ঠ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা হয়নি। বিগত সময়ে পত্রিকাটি একটি দলের হয়ে দালালি করেছে অন্যদিকে তারা কর্মীদেরকে ঠকিয়েছে। বছরের পর বছর অনেকের বেতন তারা দেয়নি, যখনই বেতন চাওয়া হয়েছে তখনই তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করেছে। অতীতের মতোই বর্তমানেও তারা এই নীতি প্রয়োগ করছে। বর্তমান বাংলাদেশে সেটা করা আর সম্ভব না। আমরা আগেও প্রতিবাদ জানিয়েছি, বার বার বেতনের জন্য মালিকপক্ষকে বলেছি, তবে তারা আমাদের কথা শোনেননি বরং প্রতিবাদ জানাতে গেলে চাকরি থেকে অব্যহতি দেওয়ার হুমকি পেয়েছি।

সাংবাদিকরা বলেন, আমরা মালিকের প্রতিপক্ষ নয়, আমরা একটি বিষয় আগেও স্পষ্ট করেছি এখনো বলছি- আমরা আমাদের প্রতিটি কর্মীর বেতন নিশ্চিত চাই। এই পত্রিকার মালিক স্বৈরাচারের সহযোগী ছিলেন, একটি দলের মুখপাত্র হয়ে সবসময় কাজ করেছে। আমরা চাই পত্রিকাটি বাংলাদেশের হয়ে কাজ করবে। পত্রিকার প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতনসহ তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিতে হবে। আমরা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ যারা সাংবাদিক নেতারা আছি আমরা আপনাদের পাশে আছি। আগামী তিন দিনের মধ্যে যদি তাদের দাবি না মেনে নেওয়া হয়, তাহলে কিভাবে দাবি আদায় করে নিতে হয়- তা আমরা জানি। স্বৈরাচারের হয়ে কাজ করে পত্রিকাটির মালিক হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগাঠনিক সম্পাদক এহসানুল হক নাহিদ বলেন, জনকণ্ঠ মালিককে বলতে চাই- আপনাদের এই রাজত্ব তৈরি হয়েছে এ শ্রমিকদের শ্রম-ঘামে, আপনাদের এই রাজত্ব যদি টিকাতে হয় তাহলে কিন্তু শ্রমিকদের শ্রম-ঘামের মূল্য দিতে হবে। আমরা ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলতে চাই, এবার আর জনকণ্ঠ মালিকের পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আপনাদের ন্যায্য দাবি অবশ্যই পূরণ করতে হবে।