নাইকো দুর্নীতি মামলায় আমাকে মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রোববার পুরান ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক মাহমুদুল কবীরের আদালতে মামলার চার্জ শুনানিতে এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মামলার অন্যতম আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এদিন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নিজেই নিজের পক্ষে চার্জ শুনানিতে একথা বলেন। তিনি নিজের পক্ষে আংশিক চার্জ শুনানি করেন। আংশিক শুনানি শেষে আগামী ১১ মার্চ চার্জ শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত। নাইকো দুর্নীতি মামলায় আমাকে মিথ্যাভাবে জড়ানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা অভিযোগ মিথ্যা এবং আমি মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার হকদার।

এদিকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে আদালতে যাননি মামলার প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তারপক্ষে সানাউল্লাহ মিয়া সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী হেলাল উদ্দীন এ সব কথা জানান।

এর আগে মামলাটিতে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, বাপেক্সের প্রাক্তন সচিব মো. শফিউর রহমান এবং প্রাক্তন সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইনের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অভিযোগ শুনানি করে তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছেন। আর খালেদা জিয়াসহ পাঁচ আসামির পক্ষে চার্জ শুনানি হয়নি।

উল্লেখ্য, এতদিন মামলাটি পুরান ঢাকার নিম্ন আদালতে বিচারাধীন ছিল। গত ৮ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে নাইকো দুর্নীতি মামলাসহ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৪টি মামলার কার্যক্রম বকশীবাজারের ওই আদালতে চলবে বলে জানায়।

ওই আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা দুটির বিচারকাজ চলছে। জিয়া অরফানেজ মামলাটি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য আর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি আগামী ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ধার্য রয়েছে।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলাটি তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মামলাটিতে খালেদা জিয়া ছাড়াও আরো ১০ জন আসামি রয়েছেন।