নাটোরে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা শুরু হচ্ছে

নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে এই প্রথমবারের মতো জেলা তাবলিগ জামাতের পক্ষ থেকে তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।

নাটোর-রাজশাহী বাইপাস সড়কের উত্তরে পাশে পূর্ব তেবাড়িয়ার প্রায় এক বর্গ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে বৃহস্পতিবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য তিন দিনব্যাপী এই ইজতেমা শুরু হয়।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তেবাড়িয়া পূর্বপাড়ার মারকাজ মসজিদ মাঠের পশ্চিম দিকে বিশাল এলাকা জুড়ে মুসল্লিদের জন্য তৈরী করা হয়েছে শামিয়ানা। সেখানে নাটোর জেলার সাত উপজেলার জন্য সাতটি এবং নাটোর শহরের জন্য পৃথক একটিসহ মোট আটটি খিত্তা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়াও নাটোর জেলায় অবস্থানরত দুইটি বিদেশি জামাতের মুসল্লিরাও এতে অংশ নিবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিদেশিদের থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

মুসল্লিদের অজু করার জন্য ইজতেমা চত্বর এলাকা ও আশপাশে থাকা ছয়টি পুকুর ছাড়াও নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে পৃথক তিনটি চৌবাচ্চা। এতে করে প্রায় তিন হাজার মুসল্লি এক সঙ্গে অজু করতে পারবেন।

এ ছাড়াও মুসল্লিদের জন্য তেরী করা হয়েছে ৬২০টি টয়লেট। ইজতেমা এলাকায় পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের জন্য আটটি ডিপ সিলিন্ডার টিউওয়েলসহ বসানো হয়েছে ছয়টি সাবমার্সিবল পাম্প।

নাটোরে আয়োজিত এই প্রথম এতো বড় ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে ১৫টি সিসি ক্যামেরাসহ পুলিশ কন্টোল রুম ও পুলিশ বক্স।

চিকিৎসার জন্য ইজতেমা মাঠের পূর্বদিকে নাটোর সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে বসানো হয়েছে অস্থায়ী একটি মেডিকেল সেন্টার।

ইজতেমাস্থলে অগ্নিনির্বাপনের জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হবে ফায়ার সার্ভিসের একটি টহল দল।

তাগলিগের মুরব্বীরা আশা করছেন, ইজতেমা মাঠে আটটি খিত্তায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মুসল্লি তিনদিন থাকবেন এবং দ্বিতীয় দিনে জুম্মার নামাজ ও শেষদিনে আখেরি মোনাজাত মিলিয়ে প্রায় এক লাখেরও বেশী মুসল্লির সমাগম ঘটবে।