
আল-আমিন, নীলফামারীঃ নীলফামারীতে র্যাবের মাদক বিরোধী অভিযানে অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল এর বিশাল চালানসহ ৩ জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩, সিপিসি-২, নীলফামারী।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও নিয়মিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, সংঘবন্ধ অপরাধী, মাদক, ছিনতাইকারী, প্রতারক, ডাকাতসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে র্যাবের ব্যাপক অভিযান অব্যাহত থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-২, নীলফামারীর একটি আভিযানিক দল সুনির্দিষ্ট তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে (৩০মে) সকালে নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানাধীন শেখমারী ইউনিয়নের অন্তর্গত মনিগঞ্জ গ্রামস্থ ধৃত মোঃ জিয়ারুল হক এর বসতবাড়ীর পূর্ব দুয়ারী আধা পাঁকা বসত ঘরের ভেতর অভিযান পরিচালনা করে আটশত বিয়াল্লিশ বোতল অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিলসহ তিন জন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ হাসানুর রহমান (২১), পিতা-মফেল উদ্দিন, ২। মোঃ জিয়ারুল হক (৩৩), পিতা- মফেল উদ্দিন, উভয় সাং-মনিগঞ্জ, থানা-জলঢাকা, জেলা-নীলফামারী, ৩। মোঃ আব্দুল মালেক (২০), পিতা-মোঃ ছবিদুল ইসলাম, সাং-শৈলমারী, থানা-জলঢাকা, জেলা-নীলফামারী দের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-১৩ এর স্কোয়াড্রন লীডার উপ-পরিচালক (মিডিয়া) অধিনায়কের পক্ষে মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, আসামীগণ জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত এবং বহুদিন ধরে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান পার্শ্ববতর্ী দেশ হতে পাচার করে নীলফামারী জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছে। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মাদক মামলা করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।