
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বাজেট অধিবেশন চলার সময় পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ পরিণত যুদ্ধক্ষেত্রে হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ জুন) দেশটির ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতা শেহবাজ শরীফ। এসময় হঠাৎ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সংসদে, শুরু হয় ধস্তাধস্তি।
কেউ কেউ হাতে থাকা বাজেট বই ছঁড়ে মারেন অন্যের দিকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কেউ কেউ হাতে থাকা বাজেট বই ছঁড়ে মারছেন অন্যের দিকে। এতে আহত হন ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নারী আইনপ্রণেতা মালেকা বোখারি। তিনি চোখে আঘাত পেয়েছেন।
This is the reality of the ‘Naya Pakistan’ Imran Khan has created. This is a reflection of his fascist mindset. He will leave no stone unturned to paralyse parliament and weaken democracy. Throwing budget books at the opposition. This is Imran Khan’s ‘Riyaasat-e-Madina’. https://t.co/FaOtgaIR7Z pic.twitter.com/wQbJ895OA1
— Marriyum Aurangzeb (@Marriyum_A) June 15, 2021
পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ হয়ে ওঠে যখন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আলী নাওয়াজ খান বিরোধী দলের দিকে বাজেট বই ছুঁড়ে মারেন। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দমনে সংসদের স্পিকার আসাদ কায়সার তিনবার সংসদ মুলতবি করেন। কিন্তু তাতেও থামেনি হট্টগোল।
যদিও ঘটনার জন্য বিরোধী দলকে দায়ী করেছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বিরোধী দলের একজন সংসদ সদস্য শুরুতে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করলে পিটিআইয়ের কয়েকজন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান।
The appalling scenes, #PTI's #swearing & #hooliganism in #Pakistan's #parliament today have 1 & only 1 reason – @ImranKhanPTI.
He brings the worst out of everyone in his party by rewarding those who use abusive language, #indecency & even #violence against his political rivals. pic.twitter.com/81H4EBHmBB— Marriyum Aurangzeb (@Marriyum_A) June 15, 2021
এঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ। দলটির পক্ষ থেকে এক টুইট বার্তায় ক্ষমতাসীন তেহরিক-ই-ইনসাফকে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়।
পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট। নিম্নকক্ষের নাম মজলিসে শুরা আর উচ্চকক্ষের নাম সিনেট। এতে মোট ৩৩৬টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ২৭২টি নির্বাচিত আসন এবং বাকি ৭০টি সংরক্ষিত আসন নারী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য।
সূত্র: ডন