
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘পৃথিবীর খুব কম দেশেই প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে রান্না করা হয়। এখান থেকে বেরিয়ে আসছে সবাই। আমাদেরও এই প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে আসা উচিত।’
সোমবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে কোম্পানির ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বেশি মুনাফা পেতে চাইলে বাসাবাড়ির গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে তা শিল্প খাতে সরবরাহ করা উচিত। এতে মুনাফা বেশি হবে। পেট্রো বাংলার তথ্য মতে, এখন বাসাবাড়িতে মোট গ্যাসের ২০ শতাংশ ব্যবহার হয়। যা বিক্রি করে আসে ১ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা। এটা যদি পাওয়ার সেক্টরে সরবরাহ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি, তাহলে এই গ্যাস বিক্রি করে আসবে ৮০ হাজার কোটি টাকা। তাই বেশি মুনাফা চাইলে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’
নাজিমউদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা শহরের নিচ দিয়ে যেভাবে গ্যাসের লাইন গেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে।’
তিনি জানান, গ্যাসের মার্জিন পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিইআরসির কাছে আবেদন করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৮২০ কিলোমিটার গ্যাস লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে সাড়ে ৪ লাখ চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ জন্য ৩৬৪টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৩৭ পয়সা। এ সময়ে শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য হয়েছে ৬২ টাকা ৬৪ পয়সা।
অনুষ্ঠানে কোম্পানির ঘোষিত ২০ শতাংশ লভ্যাংশের অনুমোদন দেয় বিনিয়োগকারীরা।
কোম্পানি সচিব মোস্তাক আহমেদের সঞ্চালনায় কোম্পানির পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল, ইস্তিয়াক আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহমুদ, খান মনিরুল ইসলাম মোস্তাক, ইঞ্জিনিয়ার মীর মশিউর রহমান, স্বতন্ত্র পরিচালক এম রফিকুল ইসলামসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এজিএমে উপস্থিত ছিলেন।