
রেজাউর রহমান চৌধুরীঃ মসজিদের কথা যদি বলি তাহলে সাবার সামনে আসবে আল্লাহ্র ঘরের কথা। যেখানে বসে আপনি মহান আল্লাহ্ তায়ালার সাথে মিলিত হোন এক গভীর প্রেমে। যেখানে গুণগান করা সৃষ্টিকর্তা, তার প্রতি শুকরিয়া আদায়, ক্ষমা প্রার্থণাসহ মুসলিম ভাইদের ইবাদতের অন্যতম এক স্থান পবিত্র মসজিদ।
সু-প্রাচীন আমল থেকে আল্লাহ্র ঘর মসজিদে শুরু ইবাদত নয় পরিচালিত হত রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কার্যকর্ম। এখানেই ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ত। এ সময় গোটা দুনিয়ার অর্ধেকের বেশি স্থান বা তার থেকেই বেশি অঞ্চল জুড়ে ছিল ইসলামের খেলাফত। তখন থেকেই ইসলামের বড় বড় শাসকগণ সারা দুনিয়া জুড়ে নির্মাণ করে গেছেন অসংখ্য মসজিদ।
এসব মসজিদে ফুটে উঠেছে বিভিন্ন দেশের শাসকদের বৈচিত্র্যপূর্ণ নির্মাণ শৈলী। সারা দুনিয়া জুড়ে ইসলামের খেলাফতের সময়কার এই মসজিদগুলোর নির্মাণশৈলী নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। পৃথিবীর সেরা দশ মসজিদে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের বাইতুল মোকাররম মসজিদ।
ক্রাইম পেট্রোল বিডি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে পৃথিবীর সেরা দশ মসজিদের ইতিহাস পরিচিতি। তাহলে চলুন জেনে নেই আজ প্রথম পর্বে মসজিদ-উল-হারাম সম্পর্কে।
গোটা মুসলিম জাতি যে দিকে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করেন। যাকে মহান আল্লাহ্ তায়ালার পবিত্র ঘর বলা হয়। সেখানে রয়েছে জমজম কুপের অবস্থান। মুসলিম বিশ্ব যেখানে হজ্বে যান। মহা পবিত্র স্থান মসজিদ-উল-হারাম বা মক্কা। এই মসজিদ-উল-হারাম হল পৃথিবীর মধ্যেবর্তী স্থান, যেখান থেকে পৃথিবীর শুরু। ইসলামে এই কাবা ঘরকে সবথেকে বেশি মুল্যায়ন করা হয়।
পৃথিবীর সবথেকে বড় মসজিদ হল মসজিদ-উল-হারাম। ইসলাম ধর্মের সবথেকে পবিত্র স্থান ‘কাবা’কে ঘিরে সৌদি আরবের মক্কা নগরীরতে এর অবস্থান। ৮৮.২ একর বা ৩,৫৬,৮০০ বর্গমিটার জমির ওপরে মসজিদটির অবস্থান।
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এই মসজিদটির সাধারণ প্রায় ৯ লাখ মুসলিম একসঙ্গে নামাজ পড়ে। তবে হজের সময় এর পরিমাণ বেড়ে কখনো কখনো ৪০ লাখে পৌঁছায়। বর্তমানে মসজিদটির সংষ্কারের কাজ করে যাচ্ছে সৌদি সরকার।