Share this:
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, প্রজাতন্ত্রের গণকর্মচারীকে সবসময় জনসেবায় প্রস্তুত থাকতে হবে, এটা সাংবিধানিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, বর্তমান যুগের মূল দর্শন হলো গতি ও নির্ভুলতা। এ লক্ষ্যে সারাদেশে শুরু হয়েছে উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া ও চর্চার মত একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। এ আন্দোলনে সবাইকে শরিক হতে হবে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে তিন দিনব্যাপী ‘বিভাগীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ২০১৭’র সমাপনী অনুষ্ঠান ও উদ্ভাবনী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে প্রধান অতিথি উদ্ভাবন চর্চায় খুলনা বিভাগের ৩ জন শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক, ২ জন শ্রেষ্ঠ স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক, ৪ জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় পর্যায়ে স্বর্ণ, রৌপ্য ও তাদের পদকপ্রাপ্ত উদ্ভাবকের হাতে সম্মাননা ও সনদপত্র তুলে দেন।
শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসকরা হলেন- খুলনার নাজমুল আহসান, যশোরের ড. মো. হুমায়ুন কবীর ও সাতক্ষীরার আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন।
বিভাগীয় স্বর্ণ, রৌপ্য ও তাম্র পদকপ্রাপ্ত উদ্ভাবকরা হলেন- মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার প্রাক্তন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অধ্যয়নরত) মো. মমিন উদ্দিন, ঝিনাইদহ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ওসমান গনি ও ঝিনাইদহ সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার ড. খান মো. মনিরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের ইনোভেশন কার্যক্রমের সফল উদ্ভাবক, ইনোভেশন ও আইসিটি কর্মকাণ্ডে অবদান রাখা ২২টি ক্যাটাগরিতে মোট ১০৫ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন মেলা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ।বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেছবাহ উল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম এবং খুলনা রেঞ্চ ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান।
স্বাগত বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সুবাস চন্দ্র সাহা। অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় উদ্ভাবন সংকলন ২০১৭ ‘উদ্ভাবন নক্ষত্র’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
