Share this:
ঢাকা : প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ। রোববার সকালে রাজধানীর গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়ায় দেখা যায় ঘরমুখো মানুষের ভিড়।
যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের ঈদযাত্রা শুরু হচ্ছে বাসের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর। এর সঙ্গে রয়েছে গলাকাটা ভাড়া আদায়।
ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, বিআরটিসি, ইলিশ, সোনার তরী, স্বাধীনসহ বিভিন্ন পরিবহনের একটি বাসেও আসন খালি নেই। শিডিউল বিপর্যয়, যানজটসহ পদে পদে বিভিন্ন বাধা উপেক্ষা করে সবাই ছুটছেন প্রিয়জনের কাছে।
যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা মঈনুল হক বলেন, ‘বৃদ্ধ বাবা-মা বাড়িতে থাকেন। তাই ঈদে বাড়ি যেতে হবে। সকাল ৬টায় ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে এসেছি। সকাল সাড়ে ৬টায় টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস গোপালগঞ্জের উদ্দেশে ছাড়ার কথা থাকলেও ছাড়ে সকাল সাড়ে ৯টায়।’
তিনি বলেন, ‘আজ প্রচণ্ড গরম। ছেলে-মেয়ে নিয়ে দীর্ঘ পথ যেতে হবে। তাই অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
শুধু মঈনুল একা নন, এ রকম হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষ ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে অপেক্ষা করলেও অধিকাংশ গাড়িই নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে যায়নি।
ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে কথা হয় অন্য এক যাত্রী আতিকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। কাটা লাইনে (ভেঙে ভেঙে) বাড়ি যাচ্ছি। গুলিস্তান থেকে পাটুরিয়া ঘাটের ভাড়া ১১০ টাকা হলেও সেখানে ২৫০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। আর বাসের ছাদে ১৫০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। টার্মিনালে হাজার হাজার যাত্রী গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে। গাড়ি কম থাকায় গলাকাটা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।’
আতিকুর রহমানের বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়। তিনি আরো বলেন, ‘দীর্ঘ পথ ছেলেমেয়ে নিয়ে যাওয়টা খুব কষ্টকর। এ ছাড়া প্রচণ্ড গরম পড়েছে। গরমে সবাই এখনই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। নিরাপদে যেন বাড়ি যেতে পারি।’
গুলিস্তানে কথা হয় মনির হোসেন সোহানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ইলিশ, আরাম, শ্রীনগর, ডিএমসহ এ রুটের সব বাসে গুলিস্তান থেকে মাওয়ার ভাড়া ৭০ টাকা। কিন্তু সেখানে ২০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। আর বাসের ছাদে ১৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড চাপ থাকায় তারা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে।’
কথা হয় ইলিশ পরিবহনের টিকিট মাস্টার মো. মাহবুবুর রহমান প্রিন্সের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মাওয়া ঘাটে যাত্রী নামিয়ে খালি গাড়ি ঢাকায় আসতে হয়। এ ছাড়া রাস্তায় যানজট রয়েছে। এ কারণে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে হচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তায় শ্রমিকনেতাসহ প্রভাবশালীদের বকশিশ দিতে হয়। এ টাকা আয় করে দিতে হবে। তাই ঈদের সময় একটু বেশি ভাড়া আদায় করা হয়।’
