
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিরাজগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ চক্রের ৩ সদস্য কে আটক করেছে র্যাব-১২ এর একটি আভিযানিক দল। শনিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১২ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মিরাজ। তিনি জানান ‘‘সোসিও ইকোনমিক ব্যাংকিং এসোসিয়েশন(সেবা)‘‘বগুড়া শাখায় কর্মরত শারমিন খাতুন(২১) বগুড়ায় চাকুরীর সুবাদে বগুড়ার ব্যবসায়ী রাম চন্দ্র শাহা (ভিকটিম) এর সাথে প্রতারণার অংশ হিসেবে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিভিন্ন সময় ভিকটিমের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে থাকেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে তার পাওনা টাকা ফেরত ও একান্ত সাক্ষাতের জন্য সিরাজগঞ্জ আসতে বলেন।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিম সিরাজগঞ্জে আসলে আসামী শারমিন বেলকুচিতে তার অপহরণ চক্রের সদস্যদের কাছে নিয়ে যান। পরবর্তীতে বেলকুচি থানার চরনবিপুর গ্রাম নামক স্থানে গেলে তারা ভিকটিমের হাত পা বেধে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে ভিকটিম রামচন্দ্রশাহার স্ত্রীর মোবাইল নাম্বারে ফোন করে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ধারনা করা হচ্ছে এই চক্রটি দির্ঘদিন যাবত মানুষকে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে মুক্তিপণ আদায় করছে।

আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া, মোবাইল ফোন, সিএনজি ও কিছু কাগজপত্র
১০ এপ্রিল শনিবার ভোর ০৪.৩০ ঘটিকায় স্পেশাল কোম্পানীর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার ও (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মিরাজ এর নেতৃত্বে র্যাব-১২ এর স্পেশাল কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দলের গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে ভিকটিম শ্রী রাম চন্দ্র সাহা (৩২) কে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন র্যাব-১২ এবং অপহরণ চক্রের ০৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া তাহাদের নিকট থেকে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত ১ টি সিএনজি, ২ টি মোবাইল, ১ টি নিয়োগপত্র এবং ১ টি ব্যাংক চেক বহি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বেলকুচি থানার দুলরাাখালী পেরির মোড় গ্রামের আফছার আলী(৫২), সিরাজগঞ্জ থানার খোকসাবাড়ী গ্রামের সাইফুল ইসলাম এর মেয়ে শারমিন খাতুন(২১), একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম এর স্ত্রী (শারমিন খাতুনের মা) মরিয়ম বেগম(৪৮) গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বেলকুচি থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে হস্তান্তর করা হয়েছে।