
নিউজ ডেস্ক : ফুড ব্লগিং অর্থাৎ খাদ্য নিয়ে রিভিউ অথবা আলোচনার জন্য যে ব্লগ। বাংলাদেশে ইদানিং ফুড রিভিউ খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর পেছনে ফেসবুকভিত্তিক প্রধান যে দুটি গ্রুপ কাজ করে গেছে তারা হলো- ফুড ব্যাংক এবং ফুড ব্লগার্স বিডি।
ফেসবুকে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে ফুড ব্লগার্স বিডির অবস্থান দ্বিতীয়। প্রায় পাঁচ লাখ ছাপ্পান্নো হাজার মেম্বার রয়েছে গ্রুপটির। গ্রুপটি দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করে আসছিলেন সৌম্য শাহরিয়ার এবং তার স্ত্রী ড. সিনথিয়া শাহরিয়ার। সৌম্য শাহরিয়ার ব্যাংকে চাকরির পাশাপাশি ফেসবুকে তার এই ফুড ব্লগিং গ্রুপটি সুনামের সঙ্গে পরিচালনা করে আসছিলেন।
গতকাল দুপুরে সৌম্য শাহরিয়ার এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়। হ্যাকাররা সৌম্য শাহরিয়ারের অ্যাকাউন্ট থেকে তাকে ফুড ব্লগার্স বিডি গ্রুপের অ্যাডমিন থেকে বাদ দিয়ে গ্রুপটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। হ্যাকাররা ফুড ব্লগার্স বিডি গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে সালমান ভাউ নামের একটি অ্যাকাউন্টকে যুক্ত করে দেয়। তারপর একাধিক লোককে অ্যাডমিন হিসেবে যুক্ত করা হয়। এই হ্যাকিং পরিচালনা করেছে হ্যাকার গ্রুপ ডার্টি অ্যানোনিমাস আর্মি (ডিএএ)।
হ্যাকার গ্রুপটি দাবি করছে, সৌম্য শাহরিয়ার যিনি ফুড ব্লগার্স বিডির অ্যাডমিন ছিলেন তিনি তার এই ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে অনৈতিক ভাবে রেস্টুরেন্টগুলো থেকে চাঁদা তুলতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এটার শিক্ষা দিতেই খাবার বিষয়ক জনপ্রিয় এই গ্রুপটি হ্যাক করা হয়েছে। গ্রুপটিতে অডিও ব্রডকাস্টের মাধ্যমে এমনটা জানায় তারা। শুধু তাই নয়, খাবার বিষয়ক সবচেয়ে জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপ ফুডব্যাংক ও হ্যাক করা হবে ঘোষণা দিয়েছে হ্যাকাররা।
এদিকে ফুড ব্লগার্স বিডি গ্রুপ হ্যাক হবার পরপরই খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রুপের অসংখ্য মেম্বার প্রাক্তন অ্যাডমিনের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে এই হ্যাকিংকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। রেস্টুরেন্ট মালিকদের থেকে সৌম্য শাহরিয়ার অনৈতিক ভাবে টাকা আদায়ের প্রমাণ স্বরুপ কিছু স্ক্রিনশটও ভাইরাল হয়। তবে বিপরীত প্রতিক্রিয়াও দেখা গিয়েছে।
হ্যাকার গ্রুপটি হ্যাক করার পর ফুড ব্লগার্স বিডি গ্রুপের (www.facebook.com/groups/foodbloggersbd) কভার ফটোতে তাদের পোস্টার অ্যাড করে দিয়েছে এবং গ্রুপটির নাম পরিবর্তন করে ফুড ভিলা বিডি করেছে। সেই সঙ্গে ডার্টি অ্যানোনিমাস আর্মি (ডিএএ) গ্রুপকে লিংক হিসেবে যুক্ত করেছে। তবে হ্যাকার গ্রুপটি তাদের অডিও বার্তায় এটিও জানায় যে, গ্রুপটি আগে যেমন ছিল তেমনই থাকবে। স্বাভাবিক নিয়মেই খাবারের রিভিউ এবং খাবার নিয়ে আলোচনা হবে গ্রুপে। কিন্তু কোনো রেস্টুরেন্ট থেকে অনৈতিক ভাবে কোনো অর্থ আদায় করা হবে না।