বরগুনার মানুষের আমি উপহার নিয়ে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আবুল হাসান বেল্লাল,বরগুনা। বরগুনা জেলার তালতলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে  শনিবার (২৭ অক্টোবর ২০১৮) বিকালে
এক জনসমাবেশের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বরগুনার মানুষের জন্য আমি উপহার নিয়ে এসেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন- শুধু শহরের মানুষ সুবিধা পাবে তা নয়,গ্রাম পর্যায়ে  শহরের মতো সুবিধা করে দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী বরগুনা জেলা পরিদর্শন করে ২১টি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

প্রকল্পগুলো হচ্ছে- একটি ২৫০ শয্যার হাসপাতাল, বামনা ও বেতাগি উপজেলায় দুইটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, জেলা পাঠাগার, জেলা পুলিশ লাইনে নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য একটি ব্যারাকের নির্মাণ কাজ এবং অন্যান্য প্রকল্প, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য হোস্টেলের সম্প্রসারণ, আমতলী থানা ভবন, বরগুনা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, দোয়াতোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস (উপকূলীয়), হোসনাবাদ ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ঘুর্নিঝড় সিডর ও আইলার পর ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় বাঁধসমূহ মেরামত, বরগুনা সদরের এম. বালিয়াতলী ডিএন কলেজ, পাথরঘাটায় সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ ও আমতলীতে ইউনুস আলী খান ডিগ্রি কলেজ-এর চারতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, তালতলীতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র, বাকেরগঞ্জ- পাদ্রিশিবপুর- কাঁঠালতলী- সুবিদখালী- বরগুনা সড়ক সম্প্রসারণ কাজ, একটি সেতু, তালতলী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, গৌরচিহ্ন ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স,বামনা ও তালতলীতে একটি বাড়ি একটি খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ভবন।

এর আগে পটুয়াখালীর কলাপারায় পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’র ঠিকানার চাবি ও দলিল তুলে দিয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মোট ২১টি উন্নয়ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টায় হেলিকপ্টার যোগে তেজগাঁয়ের পুরাতন বিমানবন্দর থেকে পটুয়াখালীর পায়রার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। পরে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দাগ্রামে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণ করে।

সেখানে পৌঁছে তিনি পায়রা বিদ্যুত কেন্দ্র প্রকল্প, একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং প্রকল্প এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের জন্য নবনির্মিত আবাসন পরিদর্শন করেন। পুনর্বাসিত পরিবারগুলোর নিকট তিনি চাবি ও রেজিস্ট্রেশন পেপার হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রী তার এই সফরে পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

প্রকল্পগুলো হচ্ছে- পটুয়াখালী সরকারি কলেজের পাঁচতলা গার্লস হোস্টেল ও শিক্ষা কাম-পরীক্ষা হল নির্মাণ কাজ, হাজী আক্কেল আলী হাওলাদার কলেজে চারতলা শিক্ষা ভবনের নির্মাণ কাজ, ইসহাক মডেল ডিগ্রি কলেজ, কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজ, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি কলেজ, আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন কলেজ, সুবিদ খালী ডিগ্রি কলেজ ও দুমকি জনতা ডিগ্রি কলেজের, চারতলা শিক্ষা ভবন নির্মাণ কাজ, দুমকি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়ন, মির্জাগঞ্জ ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুত স্টেশন, পায়রাবন্দর শেখ হাসিনা সড়ক এবং পায়রাবন্দর সার্ভিস জেটি, মসজিদ, অফিসার গেস্ট হাউস ও স্টাফ ডমেটরি।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী সরকারি কলেজের পাঁচতলা বিজ্ঞান ভবন, শ্রীমান্ত নদীতে ৯৬ মিটার সেতু, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (তৃতীয় পর্ব) প্রকল্পের আওতায় দুটি কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং পায়রাবন্দর প্রকল্পের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের পুনর্বাসন এলাকার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।