
সংসদ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সোনা চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহার হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে সরকার দলীয় সদস্য এম আবদুল লতিফের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ চাহিদা এবং পার্শ্ববর্তী দেশের চাহিদার ভিত্তিতে স্বর্ণ চোরাচালান হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জব্দকৃত স্বর্ণের অধিকাংশ মধ্যপ্রাচ্য হতে আসা। পক্ষান্তরে, ভারতে বিপুল পরিমাণে স্বর্ণের চাহিদার কারণে বাংলাদেশে আগত স্বর্ণ ভারতে পাচার হয়ে থাকে, যা বিভিন্ন টেকপোস্ট এবং আইসিপিসহ সীমান্ত এলাকায় মাঝে মাঝে ধরা পড়ে। এতে প্রতীয়মান হয়ে যে, বাংলাদেশ স্বর্ণ চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে।’
সোনাসহ অন্যান্য অবৈধ পণ্য চোরাচালান প্রতিরোধে বাংলাদেশের স্থল সীমান্তে ৬৫৩টি বিওপি রয়েছে, উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত বিজিবি কর্তৃক ৩৯ দশমিক ৭৯৬ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব স্বর্ণ উদ্ধারকালে ১৭ জনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।বাংলাদেশের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ও সীমান্ত সড়ক/রিং রোড নির্মাণ করা হলে বিজিবি তার পূর্ণ সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারবে এবং স্বর্ণসহ অন্যান্য চোরাচালান শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।’
এম এ আবদুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সাইবার ক্রাইম তথা কম্পিউটার সিস্টেমকে ব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধ দমন ও তদন্তে বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত তৎপর রয়েছে। এ জাতীয় অপরাধ সংঘটিত হলে সংশ্লিষ্ট আইনের মামলা গ্রহণ করে দ্রুত তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ জাতীয় অপরাধ উদঘাটন ও তদন্তের জন্য সিআইডিতে একটি সাইবার ক্রাইম স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম জনসচেতনামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম করছে।’