কহিনুর, স্টাফ রিপোর্টারঃ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ৮নং মদনপুরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পালপাড়া (পৌর শহরের সন্নিকটে) বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী বিশ্বেশ্বর পালের বাগান বাড়ি থেকে অর্ধশত ফলজ ও বনজ বৃক্ষ কেটে ফেলেছে এক যুবলীগ নেতা ও তার লোকজন। ১৮.০১.২৫ইং তারিখ রোজ শনিবার দিনভর এই ঘটনা ঘটেছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম গাঙ্গুলী ও তার ভাই গৌতম গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ৬-৭জন শ্রমিক ওই দিন সকাল থেকে বিশ্বেশ্বর পালের বাগান বাড়িতে প্রবেশ করে, চাম্বুল, মেহগুনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির কমপক্ষে ৫০ টি মূল্যবান ও পরিবেশ বান্ধব গাছ ইলেকট্রিক্যাল করাত দিয়ে কেটে ফেলে। পরে এই ঘটনায় বিশ্বেশ্বর পালের পুত্র শিশির পাল ৯৯৯ এ খবর দিলে ও বাউফল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সবাই পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ কাটা গাছগুলো জব্দ করে।
বিশেশ্বর পালের আরেক পুত্র তরুন পাল জানান, তাদের এক একর ৩৫ শতাংশ জমিতে, বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বৃক্ষ লাগানো হয়েছে। এই বার বাড়িতে উত্তম ও গৌতম গাঙ্গুলী অবৈধ প্রবেশ করে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমরা জানতে পেরে পুলিশকে খবর দিয়েছি। উত্তম ও গৌতম গাঙ্গুলী সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের সময় তাদের কর্মকান্ডে স্থানীয় মানুষ অতিষ্ট ছিল । তারা বিভিন্নভাবে, মানুষ কে হয়রাণী করে, টাকা আদায় করে থাকে।
বাউফল থানার এসআই মো. সাহাবুদ্দিন মিয়া জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বহু গাছ কেটে ফেলেছে। এসময় উত্তম গাঙ্গুলরি স্বজনরা গাছগুলো তাদের বলে দাবি করলে আমরা কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার জন্য নির্দেশ দেই। কিন্তু রবিবার বিকেল ৫টায় কেউ থানায় আসেসি। এ ঘটনায় বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে যুবলীগ নেতা উত্তম গাঙ্গুলীর মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি মোঃ কামাল হোসেন বলেন, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ গাছ জব্দ করেছে। আমরা অপরপক্ষকে ডেকেছি। তারা আসলে বিস্তারিত শুনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এদিকে অর্ধশত গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন এর বিভাগীয় সমন্বয়কারী রফিককুল আলম। তিনি জানান এ ধরনের কর্মকান্ড পরিবেশ বিরোধী, বিধ্বংসী। এর বিরদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।আমরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক এই বৃক্ষ কর্তনের নিন্দা জানিয়েছি।