Share this:
কহিনুর বাউফল (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা : করোনা দেড় মাস। হতো দরিদ্র পরিবার সহায়তার জন্য সরকার। দায়িত্বে¡ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ দলীয় রাজনৈতিক কর্মী এবং প্রশাসন ছিল। এতোগুলো লোকের চোঁখে পড়েনি রিক্সা চালক জালাল গাজীকে। তার ভাগে জোটেনি করোনা ত্রান সহায়তা। বেঁেচ থাকার তাগিদে দুই চোখের পানি ফেলে উপজেলার সদর বাইরে গ্রামের ছোট ছোট আকাবাকা রাস্তায় আড়ালে আড়ালে রিক্সা চাঁলিয়ে দিন কাটিয়েছে।
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা বিলবিলাস গ্রামে বাসিন্দা। পেশায় দিন মজুর রিক্সা চালক। ৩ মেয়ে ৪ ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হলেও ছেলেই দুইজন কর্মহীন। নিজেম্ব কোনো সম্পত্তি নেই। দৈনিক পরিশ্রম উপরে ৫ সদস্য পরিবারে সংসার চলছে। সারা জীবন রিক্সা প্যাডেল মেড়ে সংসার চলছে। কত লোক যাত্রী সে্েজ তার রিক্সা উঠেছে। রয়েছে পাকা দাড়ি। শরীরে জোর নেই। কারো দয়া হয়নি তার প্রতি।
বাউফলে ৪৭ হাজার পরিবার দিনমজুর দরিদ্র হতোদরিদ্র পরিবার তালিকা হয়েছে। ২০ হাজার পরিবার ত্রান সহায়তা পেয়েছে। ওই দরিদ্র পরিবার তালিকাভূক্ত হয়ে ত্রান সহায়তার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি মেম্বার চেয়ারম্যান নিকটে দ্বারস্ত হচ্ছে একাধিকবার। কেউ কথা দিয়ে কথা রাখেনি। অবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ঘুরছে। ০১৮১৯২৬০৩৭, ০১৭১১৫২০০০০ নিয়মিত রিং করছে। মিলবে কি তার সাথে সরসরি কথা !
বৃদ্ধ বয়সে ত্রান সহায়তার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিঁিখত আবেদন করেছে। কাপা কন্ঠেস্বরে জালাল গাজী মৌখিক অভিযোগ করে জানান, করোনা মাস। কতই লোককে ত্রান সহায়তা দেয়া হয়েছিল। চোঁেখর সামনে দিয়ে আমার রিক্সায় একই পরিবার একাধিক প্যাকেজ ত্রান নিতে দেখা গেছে। রয়েছে ও্ই পরিবার বংস্ক ভাতা, ভিজিডি, ১০ টাকা কেজি চাউল এবং ভিজিএফ। যা একটি পরিবারে একাধিক সরকারি সেবা গ্রহন নিয়ম বর্হিভূত তেমনি জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বহীনতার পরিচয়।
