Share this:
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লা : জেলার সদর উপজেলার বালুতুপায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নিহত যুবকের লাশ গুমচেষ্টার অভিযোগ ও পুলিশের গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩০০ জনকে এবং নিহতের ভাই মো. মানিক বাদী হয়ে মাইক্রোচালক আবুল বাশারের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে মামলা দায়ের করেন।
বাশার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার দৈয়ারা গ্রামের সুলতান আহমেদের ছেলে।
পুলিশের গাড়ি পোড়ানোর মামলাটি দায়ের করেন সদর দক্ষিণ থানার এএসআই জহিরুল আলম।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভোরে সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের চার সদস্য মাইক্রোতে করে এক মোটরসাইকেল চালককে উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে ধাওয়া করে। পরে সদরের বালুতুপা এলাকার সড়কে এসে যুবকটি মাইক্রোর ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে রাস্তার পাশে পড়ে গিয়ে মারা যায়। তারপর লাশ ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গজ দূরে বালুতুপা এলাকার ফসলি জমিতে পাওয়া যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশ লাশটি গুম করতে চেয়েছিলো। লাশ গুমচেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় জনতা পুলিশের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় জনতা পুলিশ কনস্টেবল খোরশেদ আলম (৪৮), মিজানুর রহমান (৪৭) ও কামাল উদ্দিনকে (৫৫) আটক করে মারধর করে। অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটককৃত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে।
রাসেল নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার ভীমপুর গ্রামের মৃত সফিউল্লার ছেলে।
রাসেল নিহতের ঘটনা তদন্তে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল মামুনকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবু ছালাম মিয়া জানান, নিহতের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুরি, মাদক পাচার এবং চোরাকারবার অপরাধে পূর্বে চারটি মামলা রয়েছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে লাশ গুমের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
এদিকে সদর দক্ষিণ থানার ওসি নজরুল ইসলাম পুড়ে যাওয়া মাইক্রেবাস সম্পর্কে জানান, পুড়ে যাওয়া মাইক্রেবাসটি ভাড়ায় নেওয়া ছিল। মালিককে এখনো পাওয়া যায়নি। ক্ষতিপূরণের বিষয়েও তিনি জানেন না বলে জানান।
