Share this:
যশোরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার আওয়ামী লীগের ৬৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। এতে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ১শ’ থেকে দেড়শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাম রয়েছে। জেলা বিএনপির সাবেক সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ গফুর বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, আসামিরা সকলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী। গত ৪ আগস্ট আসামিরা সকলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে একত্রিত হয়। এরপর তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। এ সময় অফিসে থাকা দুইটি ল্যাপটপ, আলমারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করা হয়।
এছাড়া প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তারা অফিসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে আসামিরা বোমা হামলা চালায়। ওই সময় তারা প্রায় ৪০ মিনিট তাণ্ডব চালায়। এতে অফিস সহকারী মনিরুল অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মাহামুদ হাসান বিপু, জেলা যুবলীগ নেতা মঈন উদ্দিন মিঠু, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ, রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহামুদ হাসান লাইফ, যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন মিলন, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ হোসেন নয়ন ওরফে হিটার নয়ন ছাড়াও শাহাজাহান কবির শিপুল, বিরামপুরের হাদিউজ্জামান চিমা, বারান্দিপাড়ার জাকির হোসেন রাজিব ও সনি প্রমুখ।
