ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বাংলাদেশি আইনজীবী

করোনার নতুন ধরন ঠেকাতে ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্রিটিশ সরকার গেল গত ৯ এপ্রিল থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় যুক্ত করেছে বাংলাদেশকেও। এতে দেশে আটকা পড়েছেন বিপুল সংখ্যক প্রবাসী। এদিকে, বাংলাদেশকে লাল তালিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা।

ব্রিটেনে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় হঠাৎ করেই বাংলাদেশের নাম অর্ন্তভুক্ত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশে থাকা ব্রিটেন প্রবাসীরা। ব্রিটেনে প্রবেশ করতে হলে ১০ দিনের বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টিন বাবদ খরচ করতে হবে বাংলাদেশি প্রায় ২ লাখ টাকা। এই রুটের অধিকাংশ ফ্লাইট বন্ধ থাকায় খরচ বাবদও গুনতে হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।

বাংলাদেশের চেয়ে আরও অনেকে দেশে করোনার সংক্রমণ হার বেশি থাকলেও বরিস জনসন সরকারের লাল তালিকাভুক্তির এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রবাসীদের। অনেকে এটিকে বৈষম্যমূলক হিসেবেও দেখছেন। আর তাই, সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি আইনজীবী তাহমিনা কবীর।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আটকা পড়ে আছে অনেক প্রবাসী ভাই-বোনেরা। একে তো কোনো ফ্লাইট নেই অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে প্রথম ১০ দিন। এই সিদ্ধান্ত আমরা বৈষম্যমূলক মনে করছি। এজন্য আমরা আইনি মোকাবিলা ব্যবস্থা নিচ্ছি। বাংলাদেশ এখন যারা আটকা পড়ে আছেন এই সিদ্ধান্তের কারণে তারা যেন আমাদের সাথে এই আইনি মোকাবিলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।’

বাংলাদেশে আটকে পড়া প্রবাসীরা ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।

ধীরে ধীরে লকডাউন মুক্ত হচ্ছে ব্রিটেন। ব্রিটেন থেকে যারা জরুরি প্রয়োজনে বাংলাদেশে গেছেন, তারা সহসাই ফিরতে পারছেন না। কবে ফিরবেন তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।