Share this:
ঢাকা:পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন , ব্লু ইকনোমি আমাদের অর্থনীতির একটি অসাধারণ ক্ষেত্র সুষ্টি করেছে । আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য একটি খাতের ওপর নির্ভরশীল । এ পরিস্থিতির বহুমাত্রিকতা আনা প্রয়োজন । বাংলাদেশের বিশাল সমুূদ্র সম্পদকে কাজে লাগাতে লাগসই পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন অপরিহার্য । চীন,কোরিয়া ,অস্ট্রেলিয়া ও সিসিলিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ব্লু ইকনোমি কাজে লাগিয়ে নিজ নিজ অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান রাখছে । তারা পারলে আমাদেরকেও পারতে হবে । সবাইকে সমুূদ্র সম্পদ আহরণের পদ্ধতি জানতে হবে । অন্যদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমাদের বিপুল সম্পদ আহরণে সময় ক্ষেপণ না করে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে ।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে পরিকল্পনা বিভাগ আয়োজিত ব্লু ইকনোমি বিষয়ক আন্ত:মন্ত্রণালয় কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন । পরিকল্পনা সচিব তারিক উল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ম্যারিটাইম ্ এ্যাফেয়ার্স ইউনিট এর সচিব মো: খুরশেদ আলম ।
অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় , পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় , মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় , নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ,শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জ¦ালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ,সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ , বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড , বাংলাদেশ ভু-ত্বাত্বিক জরিপ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন ।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন ভারত ও মায়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ার পর বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অর্থনৈতিক এলাকা সম্প্রসারিত হয়েছে। দেশের মুল ভুখন্ডের সমপরিমান (প্রায় ৮১ ভাগ ) সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা সমুদ্রের পরিবেশ ও প্রতিবেশ নষ্ট না করে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে । তিনি বলেন উপকুল থেকে তিনশত পঞ্চাশ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিশাল সমুদ্র সম্পদের মালিক বাংলাদেশ । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ২০১২ সালের পর থেকে আমাদের ্এ অপার সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ।
সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ব্লু-ইকনোমি বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ।
