
আল-আমিন এম তাওহীদ ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলায় বসত ঘরে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ,প্রাণ নাশের হুমকিসহ প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা ভূমিদস্যু কাদের। একই জমি ৬ জনের কাছে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোঃ আব্দুল কাদের সিকদার ভোলা উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আব্দুল সত্তার সিকদারের ছেলে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই এলাকার বাসিন্দা মোঃ শাহজ¦ল হক সর্দারের ছেলে মোঃ রিয়াজ উদ্দিনের কাছে জমি বিক্রি করার কথা বলে ২০১১ সালে একলক্ষ চৌদ্দ হাজার টাকা নেয় কাদের সিকদার।মোঃ রিয়াজ উক্ত টাকার জমির দলিলের কথা বললেই শুরু হয় ভুমিদুস্য কাদেরের তালবাহানা আর ছলছাতুরি। আজ প্রায় ৫টি বছর কেটে গেলেও আজ পযর্ন্ত জমি এবং দলিলের বুঝ পায়নি অসহায় রিয়াজ। অবশেষে উপায়ন্ত না পেয়ে মোঃ রিয়াজ ১৫-০১-২০১৭ ইং তারিখে ভোলা উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত হোসেন মনছুর মিয়ার কাছে সত্য বিচারের জন্য কয়েকবার লিখিত অভিযোগ দিলে চেয়ারম্যান কাদেরকে নোটিশ করেন। কিন্তু বার বার নোটিশ করা সত্বেও চেয়ারম্যানের চোখে দুলা দিয়ে আড়ালে রয়েছে ভুমিদুস্য কাদের সিকদার। এরই মধ্যে ভুমিদুস্য কাদের চেয়ারম্যানকে অমান্য করে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতকে অমান্য করে নথিপত্র তলফ করে ভোলা জজ কোর্টে ৫২৮ ধারায় গ্রাম্য আদালতের নথিপত্র তলফ করে। শুধু রিয়াজের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষান্ত হয়নি।
একই এলাকার বাসিন্দা, মোঃ ইউনুছ বয়াতির কাছে জমি বিক্রি করার কথা বলে টাকা নিয়েছে ভুমিদুস্য কাদের। কিন্তু মোঃ ইউনুছ বয়াতির চোখে দুলা আর প্রতারণা করে চলেছে কাদের।
আরো জানা যায়, একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ তছির সর্দারের ছেলে মোঃ মিলনের কাছ থেকে জমি বিক্রি করার কথা বলে একলক্ষ টাকা নিয়ে থাকে কাদের। মোঃ মিলন জমির দলিল চাইতে গেলেই শুরু হয় ভুমিদুস্য কাদেরের প্রতারণা আর প্রমদবালা তার পাশাপাশি রয়েছে প্রান নাশের হুমকি।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, কাদের ছোট বেলা থেকে আমাদের এলাকায় নাম ছিলো চোর কাদের। এরপর থেকে হয় ডাকাত কাদের। তারপর হয় ছিটার কাদের। সবশেষে আমরা ওর নাম দিয়েছি ভুমিদুস্য কাদের। কাদের সিকদার প্রায় ১২ বছর আগে ডাকাতি মামলার আসামি ছিলো সেই ডাকাতি মামলায় জেল খেটেছে কাদের। আমাদের এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছে জমি বিক্রি করার নাম দিয়ে অনেক টাকা নিয়েছে। কিন্তু জমি দিচ্ছেনা। একখানা জমি ৫ থেকে ৬ জনের কাছে বিক্রি করেছে। মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে ঘুরাঘুরি করছে। ওইসব অনৈতিক কার্যকলাপ একমাত্র ভুমিদুস্য কাদেরের স্বভাব এবং বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। কাদেরের অত্যাচারে আমাদের এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। ওর আপন আত্বীয় স্বজনের বসত ঘরে আগুন দিয়ে নিরিহ মানুষকে ফাসিয়ে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে কাদেরের সঙ্গে বার বার কথা বলার চেষ্টা করলে, তাকে পাওয়া যায়নি।
কাদেরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত মনছুর মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাদের সিকদার অনেক দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ। কাদেরের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। এক খানা জমি একাধিক মানুষের কাছে বিক্রি করছে। পরিষদে বার বার সালিশ বিচার করেছি কিন্তু কাদের সিকদারের অপকর্মের শেষ নাই।