মতিঝিল আইডিয়ালের সভাপতি ও অধ্যক্ষকে তলবের আদেশ প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আবু হেনা মোরশেদ জামান ও স্কুলের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে তলবের আদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত রিটের পুনরায় আদেশের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সকালে আদালতের আদেশ না মানায় তার ব্যাখ্যা দিতে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আবু হেনা মোরশেদ জামান ও স্কুলের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে তলব করেন হাইকোর্ট। আগামী ১ জুন তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএম সারোয়ার পায়েল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতের তলব আদেশের পর আইডিয়াল স্কুল কর্তৃপক্ষের একজন আইনজীবী আদালতকে বলেন, রিটকারীরা কিছু ভুল তথ্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য আছে। আমরা এই মামলায় শুনানি করতে চাই। এ সময় তলবের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়। পরে আদালত আদেশ রিকল করেন এবং পুনরায় আদেশের জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেন।

পরে আইনজীবী মনিরুজ্জামান আসাদ বলেন, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচনে অভিভাবক সদস্য পদে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পান মো. আনিসুর রহমান। তার থেকে বেশি ভোট পাওয়া দুইজনকে গভর্নিং বডিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই দুইজনের মধ্যে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান।

টিপু মারা যাওয়ার পর আনিসুর রহমান তৃতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থী হিসেবে তাকে গভর্নিং বডিতে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করেন। আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় আনিসুর রহমান হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১১ ডিসেম্বর আনিসুর রহমানকে ৩০ দিনের মধ্যে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডিতে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের আদেশের ৩০ দিন অনেক আগেই পার হলেও আনিসুর রহমানকে গভর্নিং বডিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

মঙ্গলবার ওই রিট শুনানির এক পর্যায়ে আদালতের আদেশ পালন না করায় তার ব্যাখ্যা দিতে মতিঝিল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আবু হেনা মোরশেদ জামান ও স্কুলের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে তলব করেন হাইকোর্ট।