
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মডেল মসজিদ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। মার্চেই প্রথম পর্যায়ে ১১টি মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ মন্ত্রণালয়ের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভূক্ত প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
বৈঠকে মন্ত্রী জানান, মার্চের মাঝামাঝি সময়ে প্রকল্পের অধীনে ১১টি মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে ১১টি মসজিদের স্থান চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করে নির্মাণকাজ শুরুর জন্য প্রশাসনিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প হিসেবে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭২২ কোটি ৫ লাখ ৮ হাজার টাকা। মডেল মসজিদসমূহের জন্য জেলা পর্যায়ে চার তলা বিশিষ্ট এবং উপজেলা পর্যায়ে তিন তলা বিশিষ্ট শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভবন নির্মিত হবে। নারীদের জন্য নামাজের আলাদা কক্ষ বরাদ্দ থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেকোনো মূল্যে এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা হলে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সহযোগিতা করা হবে।’
বৈঠকে জানানো হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বর্তমান বাস্তবায়নাধীন অনুমোদিত প্রকল্পের সংখ্যা ১১টি। প্রকল্পসমূহ হলো- মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম- ৬ষ্ঠ পর্যায়, ইসলামী পুস্তক প্রকাশনা কার্যক্রম- ২য় পর্যায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় পর্যায় ও জেলা লাইব্রেরিতে পুস্তক সংযোজন ও পাঠকসেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, প্যাগোডাভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্প, ধর্মীয় এবং আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ (১ম সংশোধিত), প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন, গোপালগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স স্থাপন প্রকল্প, মসজিদ পাঠাগার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়), সিরতা, ময়মনসিংহ ও কালকিনি, মাদারীপুর ইসলামিক মিশন হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ এবং বায়তুল মোকাররম ডায়াগনস্টিক সেন্টার শক্তিশালীকরণ, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম- ৫ম পর্যায়, বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসনের নিজস্ব অর্থায়নে ২০ তলা ভিত বিশিষ্ট দুটি বেজমেন্ট ফ্লোরসহ ৫ তলা ওয়াক্ফ ভবনের ঊর্ধ্বমুখী ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম তলা নির্মাণ।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান, ওয়াকফ প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (হজ) মো. হাফিজ উদ্দিন, যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সচিব (বাজেট ও অনুদান) মো. জহির আহমদ, ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল হামিদ জমাদ্দারসহ বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালক ও সংস্থার প্রতিনিধিরা।
১১ মডেল মসজিদ নির্মাণ শুরু মার্চে
মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন : রাইজিংবিডি ডট কম
প্রকাশ: ২০১৮-০২-২৭ ৮:০৯:১৭ পিএম || আপডেট: ২০১৮-০২-২৭ ৮:০৯:১৭ পিএম
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই মডেল মসজিদ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। মার্চেই প্রথম পর্যায়ে ১১টি মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ মন্ত্রণালয়ের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভূক্ত প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
বৈঠকে মন্ত্রী জানান, মার্চের মাঝামাঝি সময়ে প্রকল্পের অধীনে ১১টি মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে ১১টি মসজিদের স্থান চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করে নির্মাণকাজ শুরুর জন্য প্রশাসনিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প হিসেবে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭২২ কোটি ৫ লাখ ৮ হাজার টাকা। মডেল মসজিদসমূহের জন্য জেলা পর্যায়ে চার তলা বিশিষ্ট এবং উপজেলা পর্যায়ে তিন তলা বিশিষ্ট শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভবন নির্মিত হবে। নারীদের জন্য নামাজের আলাদা কক্ষ বরাদ্দ থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেকোনো মূল্যে এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা হলে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সহযোগিতা করা হবে।’
বৈঠকে জানানো হয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বর্তমান বাস্তবায়নাধীন অনুমোদিত প্রকল্পের সংখ্যা ১১টি। প্রকল্পসমূহ হলো- মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম- ৬ষ্ঠ পর্যায়, ইসলামী পুস্তক প্রকাশনা কার্যক্রম- ২য় পর্যায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় পর্যায় ও জেলা লাইব্রেরিতে পুস্তক সংযোজন ও পাঠকসেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, প্যাগোডাভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্প, ধর্মীয় এবং আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ (১ম সংশোধিত), প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন, গোপালগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স স্থাপন প্রকল্প, মসজিদ পাঠাগার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়), সিরতা, ময়মনসিংহ ও কালকিনি, মাদারীপুর ইসলামিক মিশন হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ এবং বায়তুল মোকাররম ডায়াগনস্টিক সেন্টার শক্তিশালীকরণ, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম- ৫ম পর্যায়, বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসনের নিজস্ব অর্থায়নে ২০ তলা ভিত বিশিষ্ট দুটি বেজমেন্ট ফ্লোরসহ ৫ তলা ওয়াক্ফ ভবনের ঊর্ধ্বমুখী ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম তলা নির্মাণ।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান, ওয়াকফ প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (হজ) মো. হাফিজ উদ্দিন, যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সচিব (বাজেট ও অনুদান) মো. জহির আহমদ, ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল হামিদ জমাদ্দারসহ বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালক ও সংস্থার প্রতিনিধিরা।