যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর বন্দুকের গুলিতে ১ হাজার ৩০০ শিশু মারা যায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর বন্দুকের গুলিতে ১ হাজার ৩০০ শিশু মারা যায়। সরকারের তৈরি করা এক পরিসংখ্যানে এ কথা বলা হয়েছে। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর ৫ হাজার ৮০০ শিশু বন্দুকের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। নিহতদের মধ্যে বালকের সংখ্যা ৮২ শতাংশ। শেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ শিশু মৃত্যুর বিষয়টি আবার ১০ গুন বেশি। আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে যেসব শিশু নিহত হচ্ছে তার অর্ধেকেরও বেশি হচ্ছে হত্যা। ৩৮ শতাংশ হচ্ছে আত্মহত্যা এবং মাত্র ছয় শতাংশ ঘটছে দুর্ঘটনাবশত। মূলত এক বছর থেকে সতের বছর বয়সী শিশুরা বন্দুক সহিংসতার শিকার ।

সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিশুরা যখন তাদের পরিবার কিংবা ছেলে বন্ধু এবং মেয়ে বন্ধুর সাথে সম্পর্ক নিয়ে জটিলতার পড়ে তখন তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গ শিশুদের আত্মহত্যার প্রবণতা কৃষ্ণাঙ্গদের তুলনায় চার থেকে পাঁচগুণ বেশি।

প্রতিবেদনে আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে কোন রাজ্যে শিশু বেশি মারা যায় বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। দেখা গেছে, ডিসট্রিক্ট অব কলম্বিয়া ও লুইজিয়ানায় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশুমৃত্যু বেশি হয়েছে।

গবেষক ক্যাথরিন ফোলার বলেন, ‘প্রতিবছর আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশু মৃত্যুর ঘটনা একটি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। প্রতিদিন ১৯জন শিশু আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে মারা যাচ্ছে নয়তো গুরুতর আহত হচ্ছে।’

গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর অন্য উন্নত দেশগুলোর তুলনায় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে শিশু মৃত্যুর ঘটনা আমেরিকায় অনেক বেশি।

আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন করতে এর আগে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু রাজনৈতিক কারণেই তার সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।