
রূপচর্চায় নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বাইরের থেকে বাড়ি ফেরার পর অনেকেই মুখ না ধুয়ে কাজ শুরু করেন। কিন্তু এই অভ্যাসটি মুখের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই বাইরে থেকে আসার পর মুখ ধুয়ে নিন আর সেটি যদি হয় নিমের পানি দিয়ে তা হলে পেতে পারেন আরো উপকার।
কারন নিমের গুনাগুন মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে যার ফলে ব্রনের সমস্যাও দূর হয়। আসুন জেনে নেই নিম তুলশীর গুনাগুন সম্পর্কেঃ
# নিম:
নিমের মধ্যে একই সঙ্গে আছে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও ভাইরাস নাশ করার শক্তি। নিমপাতা ত্বকের যে কোনো প্রদাহ, অস্বস্তি, সংক্রমণ ও জ্বালাভাব দূর করে। কিন্তু ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট করে না। সংক্রমণ দূরে রাখার জন্য রোজ নিমপাতা দেওয়া জলে স্নানও করতে পারেন।
# জাফরান:
অনেক ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় জাফরান ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। এটি প্রদাহ কমায়, ফলে ত্বক আরাম পায়। জাফরানের ছত্রাক-নাশক ধর্ম মুখের ব্রণও সারায়। তা ছাড়াও ত্বকের জেল্লা বাড়ায় বলে জাফরান বেশকিছু প্রসাধনী দ্রব্যে ব্যবহার করা হয়।
# চন্দনকাঠ:
চন্দন ত্বকের পচনশীলতা ও প্রদাহ আটকায়। ত্বকের ঝুলে যাওয়া ও বলিরেখা আটকে ত্বকের বার্ধক্যও ঠেকায় চন্দন কাঠ। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন চন্দন কাঠের গুঁড়ো করে জল দিয়ে মেখে সেই পেস্ট মুখে লাগালে পেতে পারেন ঝকঝকে, উজ্জ্বল ও নিখুঁত ত্বক।
# হলুদ:
বাঙালির অধিকাংশ রান্নাই হলুদ ছাড়া হয় না। এই হলুদ খেয়াল রাখতে পারে আপনার ত্বকেরও। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও প্রদাহ উপশমকারী উপাদান থাকায় হলুদ ত্বকের বার্ধক্য বা ব্রণের মতো একাধিক সমস্যা দূর করতে পারে সহজেই। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকে আসতে পারে জেল্লা।
# তুলশী:
মুখে ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তুলসী পাতা বাটার সাথে একটা ডিমের সাদা অংশ ভালো ভাবে মিশিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপরে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। ছোপ ছোপ দাগ দূর হবে, পাশাপাশি মুখে পোরস বড় হয়ে থাকলে সেগুলোকেও ছোট করতে সাহায্য করবে এই প্যাক।