নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিলে যোগ দিতে মঙ্গলবার রাতে লেবানন পৌঁছেছে চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর ১৩৫ সদস্য।
এর আগে সোমবার রাতে জাতিসংঘের একটি বিশেষ বিমানে নৌবাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। নৌ সদস্যরা লেবাননে মোতায়েনকৃত নৌবাহিনীর জাহাজ আলী হায়দার ও নির্মূলে যোগদান করবেন।
চট্টগ্রাম ত্যাগকালে চট্টগ্রাম নৌঘাঁটি ঈসা খাঁ’র অধিনায়ক কমডোর এম মুসা লেবাননগামী নৌসদস্যদের বিদায় জানান। এই সময় নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও লেবাননগামী নৌসদস্যদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম নৌঘাঁটির অধিনায়ক এম মুসা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধ জাহাজ সরাসরি লেবানতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে। এ দুটি যুদ্ধ জাহাজ ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে ইউনিফিলে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে। জাহাজ দুটি লেবানন ভুখণ্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। এ ছাড়া লেবানিজ জলসীমায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ দুটি মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন, সন্দেহজনক জাহাজ এবং এয়ারক্রাফটের ওপর গোয়েন্দা নজরদারী, দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানিজ নৌসদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।
নৌঘাঁটি অধিনায়ক আরো জানান, ৭ বছর ধরে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।


