এস. এম মনির হোসেন জীবন : ঢাকা হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়া থেকে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে ২১ টি স্বর্ণপাত ২ কেজি ২২৮গ্রাম সোনা আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। আটককৃত যাত্রীর নাম জিন্নাত মাহমুদ শামীম (৪১), পিতা: মৃত আব্দুল খালেক বেপারি মাতা: মৃত আমেনা বেগম, বাড়ি: লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ পাসপোর্ট নাম্বার (বিএন- ০৭৩০৯২০)। তার পাসপোর্ট অনুযায়ী তিনি চলতি বছরে ১৭ বার বিদেশ ভ্রমন করেছেন। আটক স্বর্ণের মূল্য প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা।
রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাাতিক বিমান বন্দরে গ্রিন চ্যানেল ত্যাগ করার সময় যাত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে এসব সোনা অঅটক করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মঈনুল খান আজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ডিজি ড. মঈনুল খান আজ জানান, কুয়ালালামপুর থেকে সোববার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে ফ্লাইট (ওডি- ১৬২) নম্বরের বিমানটি ঢাকায় পৌছায়। এরপর ওই বিমানের যাত্রী জিন্নাত মাহমুদ শামীম (৪১) বিমান থেকে নেমে তগিগড়ি করে কোন প্রকার ব্যাগেজ ঘোষণা না দিয়ে দ্রুত গ্রিন চ্যানেল ত্যাগ করার সময় যাত্রীকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। তার কাছে কোন স্বর্ণবার আছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান। তার কাছে কোন স্বর্ণবার নেই বলে গোয়েন্দাদের বারবার জানান। পরবর্তীতে যাত্রীর সাথে বহনকৃত দুটি লাগেজ স্ক্যানিং করে স্বর্ণের অসিস্ত পাওয়া যায়। এরপর যাত্রীকে বিমানবন্দরের বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে ব্যাগ দুটোর ভিতরে সংযুক্ত অবস্থায় লোহার রিং এর ভিতরে হলুদ রঙের স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় জিআই তার আকৃতির ২১ টি স্বর্ণপাত উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে দেখা যায় এগুলো উন্নতমানের স্বর্ণ। স্বর্ণ গলিয়ে বিশেষভাবে পাত তৈরি করে এবং কেমিকেল মিশ্রণ ও প্যাকেজিং করে আনা হয়েছিল।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আজ আরও জানান, শুল্ক গোয়েন্দাদের নজরদারি এড়াতে এই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে মর্মে যাত্রী জিজ্ঞাসাবাদে জানান। তার পাসপোর্ট অনুযায়ী তিনি চলতি বছরে ১৭ বার বিদেশ ভ্রমন করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে যাত্রী জানান তিনি একজন ব্যবসায়ী। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের পাতের ওজন প্রায় ২ কেজি ২২৮গ্রাম। আটক স্বর্ণের মূল্য প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। যাত্রী জিন্নাত মাহমুদকে গ্রেফতার করে আজ সকালে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর কর হয়েছে। এই আটকের ঘটনায় শুল্ক আইন, ১৯৬৯ অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।