Share this:
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান জড়িত কি না সে বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সময় আবেদন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেশের বাইরে থাকায় প্রতিবেদন দাখিল করতে সময় আবেদন করি। সে প্রেক্ষিতে আদালত দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন।’
এর আগে গত ১০ আগস্ট শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান জড়িত কি না- সে বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
ওই দিন আদালত আদেশে বলেন, ‘কান ধরে উঠ বস করানোর ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সম্পৃক্ততা নেই মর্মে পুলিশের প্রতিবেদনে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা হয়নি। পুলিশের প্রতিবেদন অসম্পূর্ন ও অগ্রহণযোগ্য।’
গত বছর ১৪ মে ইসলাম ধর্ম অবমাননার গুজব ছড়িয়ে নারায়ণগঞ্জে পিয়ার সাত্তার লতিফ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে বিদ্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ করে মারধর করা হয় এবং স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে তাকে কান ধরে ওঠ-বস করানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।
