Share this:
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। এ বিধিনিষেধের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ৪টি নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (৪ এপ্রিল) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ও বিভাগীয় পদোন্নতি ও নির্বাচন কমিটির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান সাক্ষরিত একটি চিঠিতে এসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
এতে বলা হয়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগের জন্য আগামী ৯, ১৬, ২৩ ও ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এসব পরীক্ষার পরবর্তীত তারিখ ও সময় এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ এপ্রিল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নিয়োগ পরীক্ষা ছিল। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে ৮৭ জন জনবলের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৫৪৪ জন। এ পরীক্ষার জন্য প্রকৌশল অধিদফতর প্রবেশপত্র বিতরণ করেছিল। এছাড়া ১৯ এপ্রিল হিসাবরক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর, সাঁটলিপি কাম কম্পিউটার অপারেটর, উচ্চমান সহকারী ও সাঁট মুদ্রাক কাম কম্পিউটার অপাটের পদে মোট ৪৭ জন নিয়োগ দেয়া হবে। এ পদের জন্য আবেদন করেছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ১৬১ জন।
এছাড়া আগামী ২৫ এপ্রিল ও ৩০ এপ্রিল আরও ১৫টি পদের পরীক্ষা হয়ার কথা রয়েছে। এসব পদে ৯০ হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে।
জানা গেছে, তীব্র জনবল সঙ্কট কাটাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে উদ্যোগ নেয় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের (ইইডি)। দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদের ৭৫ শতাংশই ফাঁকা। উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ৬৭৮টি পদের বিপরীতে শূন্য ৩৯৯টি। দ্বিতীয় শ্রেণির ৮৩৪টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৩০৪ জন। তৃতীয় শ্রেণিতে জনবল সঙ্কট ৮৩ শতাংশ। অধিদফতরে তৃতীয় শ্রেণির ১ হাজার ১১৫টি পদের বিপরীতে শূন্য ৯৩৩টি। নেই কোনো ইলেকট্রিশিয়ান, স্টোরকিপার, কম্পিউটার অপারেটর ও সুপারভাইজার। এছাড়া ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের ৫২৬টি পদের বিপরীতে শূন্য ৫২১টি।
চতুর্থ শ্রেণিতে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে দুজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ থাকলেও সেই দুটি পদই শূন্য। অফিস সহায়কের ৬৯০টির মধ্যে ৬০৩টি পদ ফাঁকা রয়েছে। মোট ৭৯২টি পদের মধ্যে ৬৩৫টি পদে জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি।
