শিশু আলিফাকে হত্যা করেন বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ২২ মাসের শিশু আলিফা নানা-নানীর কাছে ভালই ছিল। কিন্তু বেড়ানোর কথা বলে তাকে নিয়ে যায় বাবা মো: আলাল ওরফে দুদু।

র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, দুদু পরে আলিফাকে শ্বাসারোধে হত্যা করেছে। সোমবার সকালে দুদুকে তেজগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে র‌্যাব-২ কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ আলী জানান, ‘সোমবার তেজগাঁও তেজতুরী বাজার এলাকার একটি বাসা থেকে দুদুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুদু ও তার স্ত্রী মোছা: সেবা বেগম চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। এ কারণে তাদের একমাত্র মেয়ে আলিফা রংপুরে নানা-নানীর কাছে থাকতো। তবে দুদু ১৫ সেপ্টেম্বর রংপুরে শ্বশুর বাড়িতে আসে। আলিফাকে তার নিজের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যায় এবং বলে যায় বিকেলেই তাকে রেখে যাবে। কিন্তু বিকেলে আলিফাকে নিয়ে রংপুরে শ্বশুর বাড়িতে ফিরে না এসে নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে আলিফাকে রাস্তার পাশে একটি কলাবাগানের ভেতরে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।’

এক প্রশ্নের জবাবে মেজর মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘দাম্পত্য কলহের কারণে দুদু তার স্ত্রী সেবা বেগমের কাছ থেকে আলিফাকে নিয়ে দূরে কোথাও চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। কিন্ত আলিফা তার নানা-নানীর কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করতে থাকে। এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে আলিফাকে হত্যা করে। তদন্তের পর আরও বিস্তারিত বলা যাবে।’

উল্লেখ্য, ১৭ অক্টোবর রংপুর কোতোয়ালি থানার তাজহাট এলাকায় ভিআইপি কোল্ডস্টোরেজের পেছনে কলাবাগানে আলিফার গলিত লাশ পাওয়া যায়। আলিফার নানী মোছা: আফরুজা বেগম লাশ শনাক্ত করেন।