
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার মূল আসামি শাহজাদপুর পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুল হক মিরু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবকিছু এড়িয়ে যাচ্ছেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কর্মরত থাকা অবস্থায় গুলিতে সাংবাদিক শিমুল নিহত হন। ময়নাতদন্তের সময় তার মাথা থেকে লেটবল গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এটি পৌর মেয়রের শটগানের গুলি কি না তা নিশ্চিত হতে মেয়রের শটগানসহ ৪৩ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে। মেয়রের আগ্নেয়াস্ত্র, শটগানের গুলি ও সাংবাদিকের মাথা থেকে উদ্ধার হওয়া গুলি ব্যালাস্টিক পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় মতামতের জন্য ঢাকার সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে।
সাংবাদিক শিমুল হত্যা ঘটনায় দুটি মামলায় (বিস্ফোরক ও হত্যা) হালিমুল হক মিরুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। দুপুরে তাকে সিরাজগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হবে। তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে কি না তা নিশ্চিত করেননি পুলিশ সুপার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম, আবু ইউসুফ, সিরাজগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হেলাল উদ্দিন, তদন্ত কর্মকর্তা বাসুদেব সিনহা, গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওহেদুজ্জামান।
এর আগে রোববার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী এলাকা থেকে সিরাজগঞ্জ পুলিশের সহযোগিতায় ঢাকা মহানগর পুলিশ হালিমুল হক মিরুকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মিরুর ছোট ভাই হাসিবুল হক শাহজাদপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারধর করেন। বিজয় মাহমুদকে মারপিটের প্রতিবাদে এলাকাবাসী মেয়রের বাসার সামনে বিক্ষোভ করেন।
একপর্যায়ে মেয়র শটগান থেকে গুলিবর্ষণ করলে দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল গুলিবিদ্ধ হন। শিমুলকে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ঢাকায় আনার পথে ৩ ফেব্রুয়ারি শিমুল মারা যান।