সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও মানুষকে ঐক্যবদ্ব হয়ে কাজ করতে হবে

এস. এম. মনির হোসেন জীবনঃ রাজধানী তুরাগ থানা হরিরামপুর ইউনিয় এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড তাঁতীলীগের বিপ্লবী সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দলের জন্য নিজের জীবন বাজী রেখে হলেও আগামী দিনে তুরাগ ও হরিরামপুর বাসির সর্বস্তরের মানুষের পাশে থেকে জনগনের কল্যাণের জন্য সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবো। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সুখ, দু:খে পাশে থেকে তাদের সেবা করে যাবো। এই হোক আমার ঢাকা-১৮ আসনের সর্বস্তরের মানুষের জন্য আগামী দিনের জাতিরজনক শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার।
আগামী দিনে ঢাকা-১৮ আসনের এমপি এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের হাতকে বেগমান ও আরো শক্তিশালী করতে তুরাগ ও হরিরামপুর ইউনিয়নের সকল স্তরের নেতাকর্মী ও মানুষকে ঐক্যবদ্ব হতে হবে। সকলে মিলেমিশে দলের জন্য একসাথে কাজ করতে হবে। এই হোক আমাদের সবার অঙ্গীকার।
আজ রোববার সকালে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ক্রাইম পেট্রোল বিডি ডটকম এর সাথে একান্ত স্বাক্ষাতকারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড তাঁতীলীগের বিপ্লবী সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশিষ্ট ঠিকাদার ব্যবসায়ী মো: আলতাফ হোসেন চৌধুরী এসব কথা বলেন।
সারা দেশ ব্যাপী সরকারের সরকারের ধারাবাহীক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মো: আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ঢাকা-১৮ আসনের কর্নধার সর্বস্তরের মানুষের প্রাণ, সফল ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (এমপি) সার্বিক সহযোগিতার কারণে আজ আমরা তুরাগ তথা হরিরামপুরের জনগন উন্নয়নের ধারপ্রান্তে পৌছাতে পেরেছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে (ডিএনসিসি) ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড তাঁতীলীগের বিপ্লবী সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের শাসনামলে সারা দেশের ন্যায় ঢাকা-১৮ আসন তথা তুরাগ থানা এলাকায় যে পরিমান উন্নয়ন হয়েছে অতীতে আর কোন সরকারের আমলে সেটি হয়নি। বর্তমান সরকার হলো উন্নযনের সরকার। জাতির জনকের কণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচেছ, এগিয়ে যাবে। সে কারণে আগামী নির্বাচনে দেশের উন্নয়নের জন্য তুরাগ তথা হরিরামপুর বাসির উন্নয়নের জন্য এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (এমপি) কোন বিকল্প নেই। তাকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে ঢাকা-১৮ আসনের উন্নয়নের জন্য আবার এমপি হিসেবে জনগন দেখতে চাই।
মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করা হয়েছে। সত্যিকার অর্থে এটি একটি ভাল উদ্যোগ। এজন্য আমি তুরাগ থানা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচিছ।
বিশিষ্ট ঠিকাদার ব্যবসায়ী মো: আলতাফ হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গী, জঙ্গীবাদ ও মাদক দেশও জাতির চিরশত্রু। বর্তমান সরকার কঠোর হস্তে এগুলো দমন করার জন্য নিরলস ভাবে রাত দিন কাজ করে যাচেছন। আগামী দিনে তুরাগ বাসির উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচছাসেবকলীগ, তাঁতীলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই। সবাইকে পাশে রাখতে চাই। সকলে মিলে মিলে এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ ও সেবা করতে চাই। আমি আপনাদের পাশে আছি, ছিলাম এবং ভবিষ্যতে ও থাকবো।
ঢাকা-১৮ আসনের তুরাগ তথা হরিরামপুর বাসির উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, তুরাগের রাস্তাঘাট, কালবার্ট, ব্রিজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, সরকারী স্কুল কলেজ, সরকারী হাসপাতাল ও ড্রেনের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আরো উন্নয়ন করা হবে এবং উন্নয়নের ধারা পর্যায়ক্রমে অব্যাহত থাকবে।
দেশের পদ্মাসেতু, ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেল প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড তাঁতীলীগের বিপ্লবী সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশীয় টাকা দিয়ে সরকার পদ্মা সেতু নির্মান করছেন। বিদেশী অর্থায়নে নয়। এটা সত্যিকারে গোটা বাঙ্গালী জাতির গর্ব। এছাড়া ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেল তৈরী করছেন সরকার। অতীতে আর কোন সরকার তার করতে পারেনি। সেজন্য আমি বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচিছ।
তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে আওয়ামীলীগ সরকার পূনরায় ক্ষমতায় আসবে এবং দেশের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাবে এটা আমার বিশ্বাস। এজন্য দলীয় নেতাকর্মীদেরকে এখন থেকে একত্রিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। দেশ উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই।
রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবন প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো: আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, আমার পিতার নাম মৃত তসছির উদ্দিন চৌধুরী। নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার ঠাকুরগঞ্জ গ্রামে ১৯৮২ সালে জন্মগ্রহন করি। বর্তমানে আমি তুরাগের খায়েরটেক গ্রামে বসবাস করছি। পেশায় একজন ঠিকাদার। দুই পুত্র সন্তানের জনক আমি।
তিনি আরো বলেন, ৩ ভাই ৪ বোনের মধ্যে মো: আলতাফ হোসেন চৌধুরী সবার ছোট। আমার পরিবার হলো আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক দলের পরিবার।
রাজনীতিতে আসার কারণ ও রাজনৈতিক গুরু প্রসঙ্গে মো: আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার আদর্শকে মনেপ্রাণে ভালবেসে আমার পরিবারের সকলে জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামীলীগ কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছি। আমার পরিবারের সকলে আওয়ামীলীগ রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ।
তিনি আরো বলেন, আমার রাজনীতিতে আসার পর্দারপণ, রাজনৈতিক হাড়েগড়ি শুরু হয় ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আ: কুদ্দুছ মাদবরের হাত ধরে। তিনি একজন তৃণমূল পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা। তিনি আমার (রাজনৈতিক গুরু)। তার আদর্শ ও কর্মকান্ডকে মনেপ্রানে ভালবেসে রাজণীতিতে আমার আগমন হয়।
তাঁতীলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বর্তমানে ডিএনসিসি ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড ও তুরাগ থানা তাঁতীলীগের কমিটিতে যারা আছেন তারা দলের তৃণমূল পর্যায়ের পরিক্ষিত নেতা বটে। আমার জানা মতে দলের মধ্যে কোন দলীয় কোন্দল নেই। নৌকার পক্ষে আমরা সকলে একমত। আগামী দিনে দেশের মানুষের জন্য এবং তুরাগবাসির সার্বিক উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করবো।
ঢাকা-১৮ আসনের সর্বস্তরেরর মানুষের প্রিয়নেত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপির নির্দেশে আমরা দলের সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করছি। আমাদের দলের মধ্যে কোন ধরনের বিরোধ নেই। আমরা সকলের নৌকার পক্ষে শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচিছ।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলালীগ সহ সহযোগী অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার সাথে আছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সহ দলীয় কর্মসূচিতে তার সুযোগ্য ও সঠিক নেতৃত্বেও কারণে আমাদের আগামী দিনের পথচলা ও অনুপ্রেরনা যোগাবে। তার হাত ধরে দিন দিন এগিয়ে যাচেছ ঢাকা-১৮ আসনের উন্নয়ন কর্মকান্ড। তার কোন বিকল্প নেই।
#####