Share this:
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ বলেছেন, সাজানো ৪২ মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে অত্যাচার অবিচারের পরও বেঁচে আছি। একা একা চলাফেরা করি, আমার কোনো গানম্যান নেই, বডিগার্ডও নেই। জনগণই একমাত্র গানম্যান, তারাই আমার ভালবাসা।’
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রোববার দুপুরে রাজধানী ঢাকার গুলশানে ইমান্যুয়েলস্ কনভেনশন সেন্টারে জাপা ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, ‘আমার নামে ৪২টি মামলা। এখনও মামলা চলছে, কিন্তু কেন চলছে? এ মামলাগুলো আগের সরকারের দেয়া মিথ্যা মামলা। তারপরও মামলা প্রত্যাহার হচ্ছেনা। কারণ জাতীয় পার্টিকে সবাই ফ্যাক্টর মনে করে।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি দুঃখ করে বলেন, ‘তোমরা আমাকে স্বৈরাচার আখ্যা দাও কিন্তু আমি দেশের উন্নয়নে যেসব কাজ করেছি তা তোমরা করতে পারোনি। আজকে যে রাস্তার উপর ফ্লাইওভার নির্মিত হচ্ছে সে রাস্তা আমার নির্মাণ করা। যে পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে সে মাওয়া বিশ্বরোডও আমার শাসনামলে করা হয়েছে।’
মাতৃভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য জাতীয় পার্টির অবদান রয়েছে দাবি করে এরশাদ বলেন, ‘বাংলা ভাষা আজ আন্তজার্তিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরাই ১৯৮৬ সালে সংসদে বিল পাস করেছিলাম, সংসদসহ সব অফিস আদালতে বাংলাভাষার প্রচলন করতে হবে। বিজ্ঞাপন, ক্যালেন্ডার এবং গাড়ির নম্বর বাংলায় বাধ্যতামূলক করেছিলাম। শহীদ মিনার ভঙ্গুর অবস্থায় ছিলো তার পূর্ণাঙ্গ সংস্কার আমিই করেছিলাম।
‘এই দেশে যারা প্রতিহিংসার রাজনীতি চালু করেছিলো তাদের অবস্থা আজ কী? তারা আজ নিঃশেষ হতে চলেছে। সবই আল্লার বিচার,’ বিএনপিকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ।
জাপা ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মেজর অব. খালেদ আখতার, যুগ্ম মহাসচিব আশরাফ সিদ্দিকী, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হোসেন মৌসুমী, যুব সংহতির সদস্য সচিব ফখরুল আহসান শাহাজাদা, শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আসরাফুজ্জামান খাঁন, ছাত্র সমাজের সভাপতি সৈয়দ ইফতেখার আহসান, সেক্রেটারি মিজানুর রহমান মিরু, মহিলা পার্টির নেত্রী আসমা আশরাফ, কেন্দ্রীয় নেতা সুজন দে, সুমন আশরাফ।
