১৫ টি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা আসছে দলে দলে

কক্সবাজার প্রতিনিধি : উখিয়া ও টেকনাফের ১৫ টি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা আসছে দলে দলে। সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল এই রোহিঙ্গা স্রোত। একই সঙ্গে মিয়ানমারের অন্তত ১০ টি স্থানে আগুনের ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে।

বাংলাদেশে আসা এসব রোহিঙ্গারা নির্যাতনের যে বর্ণনা দিচ্ছেন, তাতে মিয়ানমারে গণহত্যার মতো পরিস্থিতি চলছে বলেই মনে হচ্ছে।

এ পর্যন্ত কত রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই । তবে সীমান্তবর্তী মানুষ, জনপ্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকদের মতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সংখ্যা ৩ লাখের কাছাকাছি ।

হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, তার ইউনিয়নের ১০ টি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হয় ৩১ আগস্ট থেকে। ৫ দিনে কম হলেও এই ১০ টি পয়েন্ট দিয়ে লাখের বেশি রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে।

পালংখালী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর আহমদ জানান, তার ইউনিয়নে ২৫ আগস্ট থেকে ১১ দিনে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে অন্তত দেড় লাখের মতো। এর বাইরে আরো ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে করেছে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে।

যদিও এ পর্যন্ত আর্ন্তজাতিক সংস্থার দাবি ৯০ হাজার রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ করেছে। তবে এটা মানতে রাজি নন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গার সংখ্যা তিন লাখের মতো ।

এদিকে, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রং এর পশ্চিমের পাহাড়ে রইক্ষ্যং নামক এলাকায় গড়ে উঠেছে নতুন এক রোহিঙ্গা বস্তি। যেখানে অন্তত এক লাখের মতো রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন বলে জানান স্থানীয় সাংবাদিক তাহের নাঈম।

অন্যান্য বস্তিতে কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও রইক্ষ্যং বস্তিটি পুরোটাই বিজিবির নিয়ন্ত্রণে। টেকনাফে বিজিবির ২ নম্বর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এসএম আরিফুল ইসলাম জানান, যে সব রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটেছে তাদের এক স্থানে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে এসব মানুষকে মানবিক সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে।