Share this:
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপানো ও উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানোর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। বরাবরের মতো এবারও ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসবে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
বুধবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) পরিদর্শন করে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনার পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ৩৬ কোটি ২২ লাখ ৩৪ হাজার পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে ৫ কোটি বই ইতিমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো হয়েছে। অবশিষ্ট বই ছাপানো, বাঁধাই ও তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছানোর কাজও যথাসময়ে সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, আগামী ১ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো পাঁচটি উপজাতীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় প্রাক-প্রাথমিকের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ব্রেইল পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হবে। এ ছাড়া শিক্ষকদের শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তার জন্য বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নির্দেশিকাও দেওয়া হবে।
এর আগে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা এবং অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী পাঠ্যবই ছাপানো এবং উপজেলায় পাঠানোর সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং অবশিষ্ট বই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ছাপানোর কাজ শেষ করতে নিয়মিত ছাপাখানা পরিদর্শনের জন্য এনসিটিবির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। শিক্ষামন্ত্রী বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তকের যথাযথ মান নিশ্চিত করার জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ ও অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী বুধবার পাঠ্যপুস্তক ভবনে এনসিটিবির কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে জীবন দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষাবিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ৪০ জন কর্মকর্তা স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জীবন দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেন। ইউনিসেফের প্রকল্পভুক্ত ৩০টি স্কুলে বর্তমানে এ সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নিয়মিত লেখাপড়ার পাশাপাশি জীবনভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধার বিকাশে সহশিক্ষা কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল্যায়নে শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমও মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ এবং এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহাও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
