
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : এক-এগারোর কথা বলে সরকার বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে আরেকটা চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি এক-এগারোর ষড়যন্ত্র করছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন অভিযোগের জবাবে এ পাল্টা অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। রোববার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চায় না বিএনপি নির্বাচনে আসুক। এজন্যই তারা বারবার এক-এগারোর কথা বলে এবং সমস্যা তৈরি করে বিএনপির নির্বাচনে আসার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করছে।’ ‘আমরা মনে করি, এটা (১/১১ এর কথা বলা) আওয়ামী লীগের আরেকটা চক্রান্ত। এই চক্রান্ত হচ্ছে যে, আরেকটি চক্রান্তের মধ্য দিয়ে এদেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে গণতন্ত্রকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগকে তারা রুদ্ধ করতে চায়,’ বলেন বিএনপির মহাসচিব। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। তারা প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতেও অংশ নেন। একাদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্ট করে বলতে চাই, সকল বাধা অতিক্রম করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে অবশ্যই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ সময় প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘এক-এগারোর ষড়যন্ত্র করার বিএনপির প্রয়োজনটা কী? আর এক-এগারোর সাথে বিএনপির তো কোনো সম্পর্ক নাই। বিএনপি তো এখন ড্রাইভিং সিটে নাই। ডাইভিং সিটে আছে তারা (আওয়ামী লীগ)। এক-এগারো করার অভিজ্ঞতা তাদের, এক-এগারোর সুবিধাভোগী তারা। তারা এর মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে এবং তারা ওই অবৈধ সরকারকে সমর্থন করেছে শুধু নয়, তাদের সমস্ত কর্মকাণ্ডকে বৈধতা প্রদান করেছে। বিএনপিকে এর মধ্যে নিয়ে আসার মানে হচ্ছে, তাদের কুমতলব আছে।’ ঈদে ঘরমুখী মানুষজনের যাত্রাপথে ব্যাপক যানজটের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার উন্নয়নের কথা বলছে। উন্নয়ন কী হচ্ছে? এটা তো আপনাদের টেলিভিশনের পর্দায়। ১৮/২০/২৪ ঘণ্টা লাগছে একটা জায়গায় যেতে। মানুষের মা্ঝে কোনো উন্নয়ন নাই, আছে দুর্ভোগ, ভোগান্তি।’ এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাজিমউদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইয়াসীন আলী, ফখরুদ্দিন রবিন, রেজাওয়ানুল হাসান রিয়াজ, এস এম জিলানি, নজরুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঈদের আগে মুক্তির দাবি
কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে গ্রেপ্তারকৃতদের ঈদের আগেই মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘ঈদের আর মাত্র দুই দিন বাকি। আমাদের ও সারা দেশে মানুষের জোরালো আহ্বান, এই যে কোটা আন্দোলন এবং শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে একেবারে নিরীহ অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে তাদেরকে ঈদের আগে মুক্তি দেওয়া হোক।’