অনলাইন শপিংয়ে ঠকলেন মিমি

বিনোদন ডেস্কঃ সামাজিক মাধ্যম বা অনলাইন কেনাকাটা দিন দিন বেড়েই চলেছে, কিন্তু এই অনলাইন শপগুলো বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে নানা ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় হর-হামেশাই। ক্রয় করা ব্যক্তি চান এক পণ্য আর তাকে দেওয়া হয় অন্য এক পণ্য। নিজ ঘরে বসে পণ্য কিনতে অনেকে বেছে নেন এই অনলাইন শপগুলোকে আর একারণে বাড়ছে প্রতারণা।

এবার এই অভিজ্ঞতা হল কলকাতার নায়িকা মিমি চক্রবর্তীর। টুইটারে ছবি শেয়ার করে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী-সাংসদ।

শুক্রবার টুইটে মিমি জানিয়েছেন, আমাজন থেকে ওয়্যারলেস ব্লু টুথ স্পিকার অর্ডার করেছিলেন তিনি। দাম ৪৪ হাজার ৪২৮ টাকা। কিন্তু তার বদলে একই কোম্পানির অন্য মডেলের স্পিকার আসে তার কাছে।

সেটির দাম লেখা ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। এ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন টলিপাড়ার এ নায়িকা। নিজের অর্ডারের আইডি দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

আমাজনের ডেলিভারি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতেই অনেকে অভিনেত্রীকে সংস্থায় অভিযোগ জানাতে বলেছিলেন। কিন্তু তার আগেই সংস্থার পক্ষ থেকে টুইটারে গোটা ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করা হয়। লিঙ্ক দিয়ে সেখানে অভিনেত্রী-সাংসদকে অভিযোগ জানাতে বলা হয়।

পাশাপাশি তাকে অর্ডারের বিস্তারিত তথ্য টুইটারের মতো সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করতে বারণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে মিমির সঙ্গে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর সেই কথা টুইটারে জানিয়েছিলেন তিনি। শুটিংয়ের ফাঁকে খাবার অর্ডার দিয়েছিলেন নায়িকা। সাবওয়ে থেকে স্যান্ডউইচ আনিয়েছিলেন। খাবারের বাক্স খুলেই চক্ষুজোড়া কপালে ওঠার উপক্রম হয়েছিল। স্যান্ডউইচের সর্বত্র ছত্রাকের ভর্তি হয়ে গিয়েছিলো।

টাকার বিনিময়ে এমন বাসি খাবার পরিবেশনের জন্য মার্কিন খাদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে কলকাতা পুরসভায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন মিমি।