অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক

আটক

নোয়াখালী প্রতিনিধি : জেলার সোনাইমুড়িতে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা পিংকি আক্তার পপি (১৮) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী জাকের হোসেন জাবেদকে (২১) আটক করেছে ।

সোমবার রাতে সোনাইমুড়ি থানার পুলিশ উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের পোরকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে পপির লাশ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, সন্ধ্যায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

পপি উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। আটক জাবেদ একই ইউনিয়নের পোরকরা গ্রামের বড়বাড়ির দুলাল হোসেনের ছেলে।

পপির ছোট ভাই মো. ইউছুফ অভিযোগ করে বলেন, ‘ছয় মাস আগে আমার বড় বোন পপির সঙ্গে স্থানীয় পোরকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন জাবেদের প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে পপি জানতে পারে তার স্বামী জাবেদ এর আগেও আরো দুটি বিয়ে করেছিলেন।এ নিয়ে কয়েক মাস ধরে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল।’

এর জেরে সোমবার সন্ধ্যায় জাবেদ মোবাইল ফোনে তাকে পোরকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে কোনো এক সময় জাবেদ পপিকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করেন। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে জাবেদ পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। গুরুতর আহত চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা পপি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

মো. ইউছুফ বলেন, ‘পরে স্থানীয়রা বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা সোনাইমুড়ি থানায় খবর দিই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পপির লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আমরা সোনাইমুড়ি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’

সোনাইমুড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাঈল মিঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।