অর্থপাচারে পাপলুসহ ৫জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অর্থপাচার ও মানবপাচার মামলায় কুয়েতে আটক লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপলুসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডানিং আইনে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ২১ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১০ মার্চ) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু নির্ধারিত দিনে পল্টন থানার মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ সুপার ইকবাল হোসেন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধরণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম, ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন, পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির, জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা, জেসমিন প্রধানের মালিকানাধীন কোম্পানি জেডব্লিউ লীলাবালী ও কাজী বদরুল আলম লিটন। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার (অর্গানাইজ ক্রাইম) আলামিন বাদী হয়ে মানিলন্ডারিং আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মানবপাচারকারী চক্র। বিভিন্ন সময় ৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। যার সঙ্গে পাপুল ও তার মেয়ের প্রতিষ্ঠান জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।

কুয়েতের আদালতে সাজা হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সদস্য পদ বাতিল করে সংসদ সচিবালয়। পরে ওই আসন শূন্য ঘোষণা করে ১১ এপ্রিল নির্বাচনের তারিখ দিয়েছে ইসি।