অস্ত্রোপচারের পর টকজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত কি?

অনেকের মনে এমন প্রশ্ন জাগে যে, অস্ত্রোপচারের পরে টকজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে কিনা? অনেকেই এ সময় টকজাতীয় খাবার খেতে চান না।

চিকিৎসকদের বলেন, অনেকেই ভাবে টকজাতীয় ফল খেলে ক্ষতস্থান শুকাতে দেরি হবে এবং ওখানে ইনফেকশন হতে পারে। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ, টকজাতীয় ফলে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলস থাকে, যা ক্ষত সারাতে সহায়তা করে। এ ছাড়া দেখা যায় যে রোগীরা দুধ-ডিম খেতে চান না। কারণ, তারা মনে করেন, ক্ষতস্থানে পুঁজের সৃষ্টি হতে পারে, ইনফেকশন হতে পারে। কিন্তু এটি কুসংস্কার ও ভুল ধারণা। কারণ, ডিম-দুধ প্রোটিনের যোগান দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। এটি প্রোটিনের ভালো একটি উৎস।

অপারেশনের পরবর্তী সময়ে রোগীদের যেসব খাবার খেতে উৎসাহিত করা উচিত সেগুলো হলো- প্রোটিন যেমন—মাছ-মাংস, দুধ-ডিম ইত্যাদি। এর দ্বারা রোগীর প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে থাকবে এবং খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। এ ছাড়া অনেক সময় রোগীকে দেখা যায়, অপারেশনের পরে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলোকে বেশ উপকারী। যেমন—শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি। বেলপেপার, সাইট্রাস ফুড, ক্রুসিফেরাস ভেজিটেবলস, মাশরুম, সিডস, নাটস, আনারস, পেঁপে; এগুলো অপারেশনের পর রোগীরা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং খুব দ্রুত রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে।

অপারেশনের পরে রোগীদের যেসব খাবার কম খাওয়া উচিত সেগুলো হচ্ছে—প্রসেসড ফুড, চিজ, ফাস্টফুড, সুইটস।

কারণ, দেখা যায় অনেক রোগীর ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকতে পারে। তারা যদি অপারেশনের পরে সুইটস-জাতীয় খাবার খায়, সে ক্ষেত্রে তাদের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে এবং ক্ষতস্থান সারতে দেরি হতে পারে।