আগস্ট মাসে মোট ৩৩৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে

খুলনা : খুলনার ১৭টি থানায় ৭টি হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনায় আগস্ট মাসে মোট ৩৩৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর মধ্যে নগরীর ৮ থানায় ১৭০টি এবং জেলার ৯ থানায় ১৬৫ টি মামলা হয়েছে। জুলাই মাসে এ সংখ্যা ছিল মোট ৩১৪ টি।

রোববার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় আইনশৃঙ্খলা প্রতিবেদনে জানানো হয়, খুলনা মহানগরীর আটটি থানায় আগস্ট মাসে মোট ১৭০টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ডাকাতি ১টি, রাহাজানি ১টি, চুরি ১০টি, খুন ২টি, দ্রুত বিচার ১টি, ধর্ষণ ২টি, অপহরণ ১টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১৪টি, নারী ও শিশু পাচার ২টি, মাদকদ্রব্য ৭৬টি এবং অন্যান্য ৬২টি। জুলাই মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৫৮টি।

অন্যদিকে জেলার নয়টি থানায় আগস্ট মাসে মোট ১৬৫টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ডাকাতি ১টি, চুরি ৩টি, খুন ৫টি, অস্ত্র আইনে ৪টি, ধর্ষণ ৩টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১৬টি, নারী ও শিশু পাচার ৩টি, মাদকদ্রব্য ৩৪টি এবং অন্যান্য আইনে ৯৬টি। জুলাই মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৫৬টি।

সভায় বলা হয়, অবৈধ ক্লিনিক ও ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাস্তার পাশে পশুর হাট বসানো যাবে না। অপরিচিত কারও কাছ থেকে কোন খাবার গ্রহণের বিষয়ে গরু ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকতে হবে।

এ ছাড়া জালনোট, অজ্ঞান পার্টি এবং মলম পার্টির বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য প্রচার অব্যাহত থাকবে। সিটি করপোরেশন ৩১টি ওয়ার্ডের নির্দিষ্ট ১৬০টি স্থানে পশু কোরবানি নিশ্চিত করবে। পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বাজার মনিটরিং করা হবে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্নে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে অজ্ঞান পার্টি এবং মলম পার্টির দৌরাত্ম বন্ধে সচেতন থাকার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

পবিত্র ঈদুল আযহাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কন্টোলরুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর হচ্ছে- ০৪১-৮১২২০০। মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে জরুরি ব্যবস্থা নিতে সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ জানানো হয়।

সভায় আরও বলা হয়, নাশকতামূলক কার্যক্রম ঠেকাতে খুলনার সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের কারণে বিভিন্ন রাস্তায় দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে লিংক রোডগুলোতে স্পিড ব্রেকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মাহেন্দ্রতে পেছনের সিটে চারজন বসানোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ, সিভিল সার্জন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ারম্যান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কেসিসির প্রতিনিধি, র‌্যাব প্রতিনিধি, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য অংশগ্রহণ করেন।